সর্বোচ্চ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে তারেক রহমান নির্দোষ: কায়সার কামাল
প্রকাশিত : ১৫:৪৯, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার শেখ হাসিনা নিজেই চাননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে প্রামণিত হয়েছে তারেক রহমান নির্দোষ।
বৃহস্পতিবার সকালে বহুল আলোচিত এই মামলায় আপিল বিভাগের রায়ের পর তিনি একথা বলেন।
কায়সার কামাল বলেন, “শেখ হাসিনা প্রকৃত অর্থে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার চাননি। যদি শেখ হাসিনা প্রকৃত অপরাধীদের বিচার চাইতেন, আইভী রহমান হত্যার বিচার চাইতেন তাহলে হয়তো রাজনৈতিক জিঘাংসার বশবর্তী হয়ে তারেক রহমানকে এই মামলায় অর্ন্তভুক্ত করতেন না।”
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে তারেক রহমান নির্দোষ। শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত ক্ষোভের কারণেই এই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে আসামি করেছিলেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
একইসঙ্গে এই মামলা নতুন করে তদন্তে হাইকোর্ট যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন তা বাদ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সিআইডি এই মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র জমা দিলে বিচার শুরু হয়। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই মামলায় অধিকতর তদন্তে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনকে আসামির তালিকায় যুক্ত করা হয়।
বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আলোচিত এই মামলার রায় দেন। ওই রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে গত বছর ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাইকোর্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন হলে শুনানি শেষে গত পহেলা ডিসেম্বর হাইকোর্ট এই মামলার সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আপিলের শুনানি শেষে আজ হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
এএইচ
আরও পড়ুন