ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

সাহারা মরুতে বৃক্ষ-পানির উপস্থিতি, অবাক বিশ্ব (ভিডিও)

মফিউর রহমান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৯, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৫:২১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

সাহারা মরুভূমির একাংশেই মিললো ১৮০ কোটি বৃক্ষ। সাটেলাইট-ছবি বিশ্লেষণ করে এসব গাছ খুঁজে পেয়েছেন কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। মরুতে এতো গাছ দেখে অবাক তারা। বাংলাদেশি গবেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই এমন পরিবর্তন।

ধুধু বালিয়াড়ির যেদিকে যতদূর চোখ যায়, কেবলই বিরান ভূমি, বালির পাহাড়। এটিই স্বাভাবিক মরুভূমির প্রকৃতি।

কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় মরুভূমি সাহারার একাংশে বিশাল এলাকাজুড়ে দেখা মিলেছে বৃক্ষরাজির। গাছের ঘনত্বও অন্য অংশের চেয়ে অনেক বেশি। তুলনামূলক বেশি মাত্রায় রয়েছে পানির উপস্থিতিও। 

স্যাটেলাইটে ধারণ করা ১১ হাজার ১২৮টি ছবি বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায় ১৮০ কোটি বৃক্ষ। গবেষকরা বলছেন, মরুর বুকে হঠাৎ অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাত কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এমনটা ঘটে থাকতে পারে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, “হঠাৎ করে একটা মরুভূমিতে এতো গাছ কেন? সত্যি এটা কনসার্ন। হয়তো বা সেখানে বৃষ্টিপাতের মাত্রা বেশি হতে পারে। নয়তো সেখানে গাছ গ্রো করা সম্ভব ছিল না।”

নাসা কোলাবরেটর ড. আব্দুস সালাম বলেন, “গাছপালা জন্মাবার জন্য যে এনভায়রনমেন্টটা দরকার মরু অঞ্চলে সেটা এখন ক্রিয়েট হয়েছে। সেজন্য সেখানে গাছপালা জন্মাচ্ছে। আপাতত দৃষ্টিতে এটা একটা ভালো দিক।”
 
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে আসে কিছুটা সরে গেছে পৃথিবীর ম্যাগনেটিক পোল বা চৌম্বক ক্ষেত্র। সাথে বন উজাড়, অতিমাত্রায় কার্বণ নিঃস্বরণের প্রভাবে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে বলছেন তারা। 

ড. আব্দুস সালাম বলেন, “ম্যাগনেটিক ফিল্ডটা একটু চেঞ্চ হচ্ছে। যার ফলে ওয়েদার প্যাটেন্টটাও একটু পরিবর্তন হয়েছে।”

ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, “ম্যাগনেটিক ফিল্ড পরিবর্তনের সাথে সাথে পৃথিবীর কক্ষপথও চেঞ্চ হয়ে যেতে পারে। পুরো ন্যাচারের বিহেবিয়ারও চেঞ্চ হয়ে যেতে পারে।”

সাহারার বুকে বিপুল এই বৃক্ষরাজি নিয়ে এখনই আশান্বিত হওয়ার কিছু নেই। তবে শঙ্কারও কারণ দেখছেন না গবেষকরা। বলছেন, আরও গবেষণা প্রয়োজন। 

ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, “সেখান যারা গবেষণা করেন তাদের ডাটাগুলো যদি আমরা পেতাম তাহলে এর উপর ভিত্তি করে এ কথা বলতে পারতাম যে, এটা আমাদের জন্য ভালো হচ্ছে না খারাপ হচ্ছে।”

ড. আব্দুস সালাম বলেন, “এটা আমাদের জন্য এলার্মিং না হলেও এ ঘটনাগুলো সম্পর্কে সজাগ থাকা উচিত।”

মরুতে এতো গাছের অস্থিত্ব আছে এটা ছিল বিজ্ঞানীদের ধারণার বাইরে। শুধু উপরিভাগেই নয়, বালির নিচেও মিলছে গাছ। ব্যাপকভিত্তিক গবেষণায় বের হয়ে আসতে পারে অবাক করা আরও তথ্য।  

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি