সিলেটে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে চারজনের ফাঁসি
প্রকাশিত : ১৬:৪৯, ৫ আগস্ট ২০১৮

সিলেটে সুলতানা বেগম নামে ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা ও মরদেহ গুমের দায়ে চারজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় চার আসমির প্রত্যেককে হত্যার অপরাধে এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং গুমের অপরাধে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ (প্রথম আদালত) ও শিশু আদালতের বিচারক এএম জুলফিকার হয়াত এ রায় দেন। এ সময় ৩ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি একজন পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কানাইঘাট উপজেলার বড়খেয়র এলাকার আবুল উদ্দিন (২৫), রাসেল আহমদ (২২) ও সাদেক উদ্দিন (৩০)। এছাড়া এই উপজেলার এরালিগুল এলাকার বাবুল আহমদ ওরফে রুহুল (২৮)। তিনি পলাতক রয়েছেন।
অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এরালিগুল গ্রামের তেরা মিয়ার মেয়ে সুলতানা বেগম (১২) বান্ধবী পলাতক আসামি বাবুলের বোন ফারহানা বেগমের সঙ্গে আরবি পড়া শেষে তার বাড়িতে যায়। এ সময় বাবুল মিয়া সুলতানাকে বাড়ির অদূরে একটি টিলায় পান সুপারি নিয়ে যেতে বলে। সুলতানা সেখানে গেলে বাবুল ও দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি সুলতানাকে ধর্ষণ করে হত্যার পর মরদেহ ওই টিলাতেই পুঁতে রাখে।
ঘটনার চারদিন পর ২৯ সেপ্টেম্বর আসামি আবুলকে গ্রেফতার করে কানাইঘাট থানা পুলিশ। পরে সে সুলতানাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এ ঘটনায় ২৯ সেপ্টেম্বরেই নিহতের ভাই একলিম উদ্দিন ওই চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
ওই সময় এই মামলা সারা দেশে ব্যাপক সারা ফেলেছিল।
এসএইচ/
আরও পড়ুন