ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

স্তন ক্যানসারের কী চিকিৎসা: ডা. আফরিন সুলতানা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২৭, ২৩ অক্টোবর ২০১৮

ডা. আফরিন সুলতানা

ডা. আফরিন সুলতানা

স্তন ক্যানসার এই সময়ের একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। এই রোগটি দিন দিন বাড়ছে। ক্যানসার আক্রান্তরা স্বভাবতই আতঙ্কে থাকেন। স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা নিয়েও সমাজে নানা কথা প্রচলিত। এখনও অনেকে মনে করেন স্তন ক্যানসারের কোনো চিকিৎসা নেই। মৃত্যু অনিবার্য!

কিন্তু আপনি জানেন কি দেশেই স্তন ক্যানসারের নিরাপদ ও উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খরচও তুলনামূলক কম।

স্তন ক্যানসার শুনলেই একটা কথাই মাথায় আসে। সেটা হলো স্তন পুরোটাই কেটে ফেলতে হবে। বহির্বিশ্বে স্তন ক্যানসারের যে চিকিৎসা চলছে তাতে পুরো স্তন না কেটে আক্রান্ত অংশ কাটলেই রোগ নিরাময় হয়ে যায়। আমাদের দেশেও বর্তমানে সেই চিকিৎসা চালু হয়েছে।

সাধারণত রোগীদেরে আমরা যে চিকিৎসা দেই তাতে সবার মাথায় একটাই প্রশ্ন থাকে, আমার ব্রেস্ট যেহেতু থেকে যাচ্ছে (কাটা হয়নি এমন অংশ) সেখানে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যাচ্ছে কি-না? অনেকের ধারণা, যেহেতু আমি স্তন কেটে ফেলছি, তখনই রোগটা পুরোপুরি সেরে গেল। কিন্তু এই ধারনা বদলানোর সময় চলে এসেছে।

একটা স্তন পুরোপুরি কেটে ফেললে ক্যান্সারের যতোটুকু সম্ভাবনা থাকে, না কাটলেও কিঞ্চিৎ এক বা দুই ভাগ বেশি সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য আমরা রোগীদের উৎসাহিত করছি, বিশেষ করে যারা প্রাথমিক পর্যায়ে আসছেন তারা এই চিকিৎসা নেওয়ার জন্য।

কারণ, স্তন একটা রেসপেক্টিবল অর্গান। এটার শারীরীক দিক ছাড়াও মনস্তাত্বিক, সামাজিক ও পারিবারিক অনেকগুলো দিক অাছে। অামাদের দেশে যারা স্তনের সার্জন হিসেবে কাজ করছে তারা এই চিকিৎসা দিচ্ছেন।

অামাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে অামাদের অার্থ- সামাজিক ও পরিবেশগত মিল অাছে অনেকখানি। যেহেতু তারা এটা গ্রহণ করতে পারছে সেহেতু আমরাও পারব।

ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে খরচ একটা বড় ব্যাপার। যেকোনো ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অামাদেরকে একটা বড় সময় ধরে চিকিৎসা নিতে হয়। শুধু অপারেশন করলেই এটা শেষ হয়ে যায় না। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় কেমোথেরাপী, রেডিওথেরাপী, হরমোন থেরাপী নিতে হয়।

অামি বলব, দেশের বাইরে স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা নেওয়ার চেয়ে দেশেই নেওয়া ভালো। খরচও কম হয়। কারণ আমরা একই ধরনের চিকিৎসা বাংলাদেশে দিতে পারছি।

অারেকটা বিষয় লক্ষ্য করা যায়, যারা ব্রেস্ট ক্যান্সারে অাক্রান্ত হন বা চিকিৎসা নেন, তারা মানসিকভাবে বড় হতাশায় ভোগেন। এক্ষেত্রে তার পরিবার, সমাজ বা অাশেপাশে যারা অাছেন সবার একটা বড় ভূমিকা অাছে তার পাশে দাঁড়ানোর।

**লেখক: ডা. অাফরিন সুলতানা

এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমঅারসিএস

 কনসালটেন্ট, জেনারেল সার্জারী, সিটি হাসপাতাল

ল্যাপ্রস্কোপিক, ব্রেস্ট, কলোরেক্টাল সার্জারীতে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

অা অা/ এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি