ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪

স্বর্ণের লোভে তিন মন্দিরে ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ২

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১৮:০৭, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০

স্বর্ণের লোভেই ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের হরিষকুল গ্রামের তিনটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর ও চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি সাগর চৌধুরী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে পুলিশের কাছে। এছাড়া চোরাই স্বর্ণ কেনার অপরাধে প্রেমা রাজবংশী নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মোকলেছ চৌধুরীর ছেলে সাগর চৌধুরী (৩৯) এবং একই উপজেলার আলগীরচর গ্রামের কার্তিক রাজবংশীর ছেলে প্রেমা রাজবংশী (৩৫)। গ্রেপ্তারকৃত সাগর এর আগে হরিষকুল গ্রামেই বসবাস করত।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ (দক্ষিণ) হুমায়ন কবির, দোহার সার্কেলের এএসপি জহিরুল ইসলাম, নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম এবং ডিবি ঢাকা দক্ষিণের তৎপরতায় আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ডিবি ঢাকা দক্ষিণের ওসি (তদন্ত) আরাফাত হোসেন জানান- মন্দিরের প্রতিমায় থাকা স্বর্ণের লোভেই মূলতঃ সাগর এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সে আগে হরিষকুল গ্রামেই থাকত। গত রোববার পালপাড়ার রাধাগোবিন্দ মন্দির থেকে দুই আনা পরিমাণ স্বর্ণের চাঁদ (টিপ) খুলে নেয় প্রতিমার কপাল থেকে। খুলে নেয়ার সময় টান লেগে প্রতিমা ভেঙে যায়। সোনার ওই টিপ দুটি নবাবগঞ্জের বাগমারা বাজারের স্বর্ণকার প্রেমা রাজবংশীর কাছে বিক্রি করে সাগর। যে কারণে প্রেমাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গত মঙ্গলবার ভোররাতে চুরির উদ্দেশ্যে আবারও একই ঘটনা ঘটায় সাগর। হরিষকুলের গোবিন্দ পালের বাড়ির কালিমন্দিরে গিয়ে সেখান থেকে প্রতিমার শরীরে থাকা একটি চাদর চুরি করে নিয়ে আসে। এরপরে পাশের আরেকটি বাড়ির শীতলা মন্দিরে গিয়ে ওই প্রতিমার দুই হাতে থাকা শাঁখাগুলোকে স্বর্ণের মনে করে হাত ধরে টান দিয়ে দুটি হাত ভেঙে ফেলে। গ্রেপ্তারকৃত সাগর ও প্রেমা পুরো ঘটনা স্বীকার করেছে।

আরাফাত হোসেন আরও জানান- মন্দির থেকে চুরি হওয়া চাদরটি ক্লু হিসেবে নিয়ে সাগরকে বৃহস্পতিবার সকালে কাশিমপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী স্বর্ণকার প্রেমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

তিনি জানান- মূলতঃ স্বর্ণের লোভেই পরপর তিনটি মন্দিরে এ ঘটনা ঘটায় সাগর। দুইবছর আগে হরিষকুল গ্রামে মন্দিরে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় তাকে মারধরও করেছিল এলাকার মানুষ।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি