ঢাকা, সোমবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৫

‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অস্বীকারকারীরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৪৫, ১০ এপ্রিল ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে যে বা যারা অস্বীকার করে, তারা প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে অস্বীকার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু-ই প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক । স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের উপর ভিত্তি করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে এবং বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে।


আজ ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের ৪৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি প্রতিরোধে আইন চাই’ শীর্ষক আলোচনা তুরিন আফরোজ এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার তুরিন বলেন , ‘১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধান থেকেই এই দুটি বিষয় আমাদের সংবিধানের অন্তর্গত করা হয়েছে। আমাদের সংবিধানের ১৫০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ঘোষণাপত্র সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃত। সংবিধানের চতুর্থ তফসিলেও স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ঘোষণাপত্র ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলি হিসেবে চিহ্নিত করে সংবিধানের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ঘোষণাপত্রে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই হচ্ছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। একইভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখ আছে যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই হচ্ছেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি। সুতরাং এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক অর্থহীন ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যা সংবিধান লঙ্ঘনেরও শামিল’।

বিচারপতি শামসুল হুদার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন , বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রমুখ।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি