হিলারি-ট্রাম্পের পাশাপাশি আলোচনার ইস্যু এখন ব্যতিক্রমী আর জটিল নির্বাচন পদ্ধতি
প্রকাশিত : ১২:১১, ৪ নভেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১২:৩৪, ৪ নভেম্বর ২০১৬
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি-ট্রাম্পের পাশাপাশি আলোচনার ইস্যু এখন এর ব্যতিক্রমী আর জটিল নির্বাচন পদ্ধতি। দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন, বিতর্ক আর আগাম ভোটের পর এবার বাকি ভোট গ্রহণ। ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা আর স্বচ্ছতা নিয়েও বির্তকের কমতি নেই।
ডেমোক্র্যাটিক আর রিপাবলিকান দল থেকে যোগ্য প্রার্থী বেছে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। প্রাইমারি আর ককাস নামে পরিচিত নির্বাচনের প্রথম ধাপেই অঙ্গরাজ্যগুলোর দলীয় প্রতিনিধিরা বেছে নিয়েছিলেন হিলারি ও ট্রাম্পকে। চূড়ান্ত হয় দলীয় কনভেনশনে। এরপর চলে ৩ দিনের প্রেসিডেন্টশিয়াল বিতর্ক।
এরপর বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে শুরু হয় আগাম ভোট। দেশের বাইরে থাকা মার্কিন নাগরিক ও যারা নির্বাচনের দিন ঝামেলা এড়াতে চান তারা এই ভোটে অংশ নেন।
এরপর আনুষ্ঠানিক ভোটগ্রহন। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ি, নভেম্বরের প্রথম সোমবারের পরের মঙ্গলবার এ’ দিনটি নির্দিষ্ট। ভোটের আরেকটি প্রক্রিয়ার নাম ইলেকটোরাল কলেজ। প্রত্যেক অঙ্গরাজ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেকটোরাল ভোট থাকে। জনগণের ভোট যিনি বেশি পাবেন, ওই অঙ্গরাজ্যের সব ইলেকটোরাল ভোটও তার পক্ষে যাবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রার্থীকে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে কমপক্ষে ২৭০টি পেতে হবে।
প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি একইভাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট বা রানিং মেটও নির্বাচিত হয়।
নির্বাচনে দুই দলের প্রতীক বাছাইয়ের পেছনেও রয়েছে দুইশ’ বছরের ইতিহাস। জ্যাকঅ্যাস খ্যাত সপ্তম প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের হাত ধরে ডেমোক্র্যাটিক দলে এসেছিল গাধা প্রতীক। আর রিপাবলিকানদের দখলে যায় হাতি।
এখন পুরো বিশ^ তাকিয়ে আছে এই গাধা আর হাতি প্রতীকের লড়াইয়ের দিকে।
আরও পড়ুন