ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪

হৃদরোগ থেকে বাঁচতে হলে-

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩৩, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

অনিয়মিত জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আপনি জানেন কি, বিশ্বে শতকরা ১৭ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয় হৃদরোগজনিত কারণে। তার মধ্যে আবার ৮ শতাংশ মারা যায় উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে। অথচ একটু সচেতন হলেই মরণঘাতী এ রোগটি থেকে অনায়াসে নিস্তার পাওয়া যায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি করলে আর কি না করলে এ হৃদরোগ থেকে বাঁচা যেতে পারে।

১. কর্মঠ থাকতে হবে: কথায় আছে, ‘সুন্দর দেহ প্রশান্ত মন, কর্মব্যস্ত সুখী জীব।’ অন্যদিকে অলসতাকে বলা হয় শয়তানের বসতঘর। তাই সুস্থ থাকতে হলে কর্মে ব্যস্ত থাকতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। কর্মে ব্যস্ত থাকলে রক্তে কোলেস্টরেলের পরিমাণ বাড়তে পারে না। তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত কর্মে ব্যস্ত থাকতে হবে।

২. ওজন কমাতে হবে: গবেষণায় দেখা গেছে, ওজন বেড়ে গেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এতে রক্তে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই বয়স অনুসারে বিএমআই সঠিক আছে কি না দেখে নিতে হবে। বি এমআই ১৮ পিপিএম থেকে ২৫ পিপিএম পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা হয়। ২৫ থেকে ৩০ পর্যন্ত অতিরিক্ত ওজন ধরা হয়। বলা হয়ে থাকে বিএমআই ২৫ এর উপর গেলেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে।

৩. ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক রাখতে হবে: রক্তচাপ সিস্টোলিক ১২০ এবং ডায়াস্টোলিক ৮০ এর মধ্যে রাখতে হবে। তবে সিস্টোলিক রক্তচাপ ১৪০ এর উপরে এবং ডায়াস্টোলিক ৬০ এন নিচে না নামলে সেটাকেও মোটামুটি সুস্থ বলা যায়। যে সব খাবার খেলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেসব খাবার এঁড়িয়ে চলতে হবে।

৪. ভালো ঘুম: শরীর সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই ভালো ঘুম দরকার। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং একই সময়ে ঘুম থেকে উঠতে পারলে শরীরের রক্তচাপ নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে।

৫. ধূমাপান বন্ধ করুন: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এটা আমরা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু তা মেনে চলি না। তবে হার্ট যদি সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।

৬. লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন: দৈনিক লবণ গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দিন। খাদ্যে লবণের পরিমাণ বেশী থাকলে হাইপারটেনশন এবং হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। লবণের পরিমাণ কমানোর পাশাপাশি আপনার জাঙ্ক ফুড খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

৭. মানসিক চাপ কমান: কথায় আছে, ‘বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়।’ যাকে একবার দুশ্চিন্তা, অবসাদ গ্রাস করেছে, কেবল সেই বুঝে দুশ্চিন্তা কি জিনিস। এদিকে গবেষণায় দেখা গেছে, নিকোটিনের চেয়েও শতগুণ মারাত্মক ক্ষতিকর এ মানসিক চাপ। তাই মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকুন। আর হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখুন।

৭. কোমল পানীয় ও মদ খাওয়া বন্ধ করুন: কোমল পানীয় খাওয়া বন্ধ করুন। অনেকেই মদ খান না, তবে কোমল পানীয় খান। তবে মনে রাখতে হবে, মদের মতোই কোমল পানীয়ও শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে হলে কোমল পানীয় ত্যাগ করতে হবে।

৮. চর্বি কমাতে হবে: শরীরের চর্বি কমাতে হবে। সুস্থ শরীরের জন্য মেদহীন ঝরঝরে শরীর একান্ত দরকার। আর চর্বি কমানোর মধ্য দিয়ে আপনি আপনার হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখুন।

এমজে/

 

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি