ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

১১২ দেশের জাতীয় সংগীত জানেন যিনি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৫, ১৯ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৮:৪৯, ১৯ আগস্ট ২০১৭

মালয়েশিয়ার থিয়ান সি শিয়েন ইতিহাস গড়েছেন। তিনি ১১২টি দেশের জাতীয় সংগীত মুখস্থ করেছেন। কেবল মালয় ও ইংরেজি ভাষা জানলেও এতগুলো ভাষার গান দিব্যি গাইতে পারেন।


পেশায় আইনজীবী শিয়েন ২০০২ সালে শখের বশে জাতীয় সংগীত শিখতে শুরু করেন। তারপর একে একে এশিয়া, ইউরোপ এবং দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকার প্রায় সব দেশের জাতীয় সংগীত শিখে নেন।


শিয়েন দাবি করেন, তিনি প্রায় হুবহু সুরে ১১২টি জাতীয় সংগীত গাইতে পারেন। দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় সংগীতও তিনি শিখেছেন, যা কিনা পাঁচটি ভিন্ন ভাষায় গাইতে হয়। ড্যানিশ ও আরবি সুর রপ্ত করতে তাঁর বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তবে ফরাসি, স্প্যানিশ ও জার্মান কিছুটা সহজ মনে হয়েছে।


শিয়েন এখনো নতুন নতুন জাতীয় সংগীত সংগ্রহ করছেন এবং শিখছেন। কারণ, পাঁচটি মহাদেশের প্রতিটি দেশের জাতীয় সংগীত শিখে নিতে চান তিনি। এই বিশেষ দক্ষতার জন্য বিশ্বজুড়ে অনেক বন্ধু পেয়েছেন। তিনি পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাজ্যে, সেখানে আরও অনেক দেশের ছাত্রছাত্রীকে বন্ধু হিসেবে পান।


গানের কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই শিয়েনের। তবে সুর শুনে শুনে আয়ত্ত করার দক্ষতা তাঁর আছে। আর তাঁর আইকিউ বা বুদ্ধিমত্তার মাত্রা ১৭৬, যা কিনা ‘অসাধারণ প্রতিভাধর’ বা তার কাছাকাছি পর্যায়ের। হয়তো এ কারণেই তিনি এতগুলো ভাষার গান ও সুর মনে রাখতে পারেন।


কুয়ালালামপুরের একটি তেল ও গ্যাস কোম্পানিতে আইনি পরামর্শকের চাকরি করেন শিয়েন। বললেন, জাতীয় সংগীত শিখতে গিয়ে তিনি ইতিহাসের অনেক বিষয় জানতে পারেন। যেমন: ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা একই ব্যক্তি—কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


একমাত্র অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশই বাকি আছে, যার কোনো দেশের জাতীয় সংগীত এখনো শিয়েন শেখেননি। এ নিয়ে মজা করেন এভাবে, ‘পেঙ্গুইনরা যদি আমাকে একটা গান শিখিয়ে দিত, আমি সর্বাত্মক চেষ্টা নিয়ে শিখতাম।’
//এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি