২০ মরদেহ হস্তান্তর, শনাক্ত করা যায়নি ৬ জনের
প্রকাশিত : ১১:০৫, ২২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১১:০৯, ২২ জুলাই ২০২৫

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের মধ্যে মোট ২০ জনের মরদেহ অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও ৬ জনের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গতকাল রাত থেকে ১২ ঘণ্টা আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ২৭ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ২৫ জনই শিশু। বাকি দুইজনের মধ্যে একজন পাইলট ও অপরজন শিক্ষিকা।
অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, মোট ২০ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও ৬ জনের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি। উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে একজনের দেহাবশেষ রয়েছে। শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ স্যাম্পল নেওয়া হতে পারে।
চিকিৎসার সব রকমের প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় বার্নে ৪২, সিএমএইচে ২৮, ঢামেক বার্নে ৩ (২ জন আইসিইউ)।
গতকাল সোমবার দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। উত্তরাসহ আশপাশের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের উদ্ধার করা শুরু করে। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিমান দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (মঙ্গলবার সকাল ৮টা) নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭ জনে এবং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৮ জন।
আহতদের মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ১ জন; জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৪৫ জন; ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন; সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ২৭ জন; উত্তরার লুবানা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারে ১০ জন; উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ১৬ জন; উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১ জন এবং শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন