২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকার
প্রকাশিত : ১৩:০৮, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১৩:০৮, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্যে আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল কেন্দ্র নির্মাণে বদ্ধপরিকর সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় এস আলম গ্র“প চট্টগ্রামে তৈরি করছে ১৩শ’ ২০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার এসএস পাওয়ার। ২০১৯ সালে দেশের সবচেয়ে বড় এ বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে সুফল পাবে সাধারণ মানুষ।
পৃথিবীর ৪১ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হয় কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুত থেকে। বাংলাদেশে যা ১ শতাংশেরও কম। কৃষিভিত্তিক দেশকে শিল্পের মর্যাদা দিতে তাই বিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর সরকার। ঝুঁকছে আল্ট্রাসুপারক্রিটিক্যাল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের দিকে। কারণ বাংলাদেশে প্রতিদিনই বাড়ছে ১০ শতাংশ হারে বিদ্যুতের চাহিদা। আর সে চাহিদা মেটাতেই এস আলম গ্রুপের এসএস পাওয়ার সবুজবেষ্টনীর মাধ্যমে তৈরী করছে দেশের বৃহত্তম কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র।
এসএস পাওয়ারে থাকবে বিশ্বমানের এফ্লুয়েন্ট ট্্িরটমেন্ট প্ল্যান্ট বা ইটিপি। থাকবে ৩০ শতাংশেরও বেশি সবুজ বনানী। বয়লারের পানি সমূদ্রের পানির চেয়ে কখনও ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হবে না। শব্দ দূষণ বন্ধে প্ল্যান্টের মধ্যের জেনারেটর ও টার্বাইনের কেসিংয়ে শব্দনিরোধক ব্যবস্থা থাকবে। বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে নাইট্রো অক্সাইডসহ অন্যান্য কণাজাতীয় পদার্থ নির্গমনের পরিমাণ হবে খুবই কম। কয়লা দহনের ফলে উৎপন্ন ছাইকে নির্দিষ্ট পুকুরে পানির নিচে রাখবে এসএস পাওয়ার। ধোঁয়া নির্গমনের চিমনি হবে ২৭৫ মিটার উঁচু। ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক প্রেসিপেটর বা ইএসপি ব্যবহার করে ৯৯ শতাংশেরও বেশি বস্তুকণা অপসারণ করে পরিবেশ সুন্দর রাখবে আল্ট্রা সুপারক্্িরটিক্যাল এসএস পাওয়ার।
চীনের প্রসিদ্ধ দুটি প্রতিষ্ঠান সেপকো ও এইচটিজির সঙ্গে যৌথভাবে নির্মানাধীন এসএস কোল পাওয়ার হবে উল্লেখ করার মতো অভিজাত বিদ্যুত কেন্দ্র।
আরও পড়ুন