ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা সংকট: আনান কমিশনের নতুন প্রতিবেদনে যা আছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৮, ৭ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৩:০২, ৭ জুলাই ২০১৮

গত মাসে আনান কমিশনের নতুন করে দেওয়া এক প্রতিবেদনে রাখাইন পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রাখাইন পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি, বরং তা আরও খারাপ হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৬ সালের অক্টোবর ও ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে ব্যাপকভাবে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৬ সালে ডি ফ্যাক্টো সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের সময়ই অং সান সু চি জানতেন রাখাইন তার জন্য বড় রাজনৈতিক বাধা হয়ে উঠবে। আর সেকারণে তিনি এই ইস্যুটি সামলাতে সাহায্য প্রার্থনার সিদ্ধান্ত নেন। দায়িত্ব নেওয়ার দ্বিতীয় মাসেই সু চি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রাখাইন পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সুপারিশ তৈরির জন্য একটি কমিশনের নেতৃত্ব দিতে তিনি আনানকে অনুরোধ জানান।

২০১৬ সালের জুনে মিয়ানমারে সফর করে কফি আনান ফাউন্ডেশন। সেসময় সু চি’র অনুরোধে সাড়া দেন আনান। গত বছরের ২৪ আগস্ট কমিশনের কার্যকাল শেষে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ৮ জুন প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তাদের পরামর্শ ও সুপারিশ সত্ত্বেও উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইনের পরিস্থিতির ক্রমঃঅবনতি ঘটেছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে পরিস্থিতির এই অধঃগতি কমিশনের কাজের গুরুত্বকে সামনে এনেছে। গত বছরের ২৪ আগস্ট কমিশনের তরফ থেকে প্রতিবেদন প্রকাশ না করা হলে পরিস্থিতি এর চেয়েও খারাপ হতে পারতো।

কমিশনের নতুন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১২ সালে রাখাইনে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় এক লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর থেকে সেখানকার পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

প্রতিবেদনে বলা হয়ে, সু চি আসলে ভেবেছিলেন কমিশনে আনান ছাড়া বাকি যে বিশেষজ্ঞরা থাকবেন, তারা সবাই মিয়ানমারের নাগরিক হবেন। তবে কফি আনান আর তার ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে ওই কমিশনে আরও দুইজন বিদেশি রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়। যাতে করে কমিশনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সদস্যদের ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। পরবর্তীতে ছয়জন দেশি আর তিনজন বিদেশি বিশেষজ্ঞ সদস্যকে নিয়ে ওই কমিশন গঠিত হয়।

পর্যায়ক্রমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব নিশ্চিত করাকেই রাখাইন সংকট সমাধানের পথ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল কফি আনান কমিশনের প্রতিবেদনে। সেই সুপারিশগুলো আলোর মুখ দেখছে না বলে অভিযোগ রয়েছে আনান কমিশনের পক্ষ থেকে।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি