ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

২০১৭ সাল বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উষ্ণতম বছর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪৭, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২০:০২, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

২০১৭ সালকে পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উষ্ণতম বছর হিসেবে শনাক্ত করেছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)। কার্বন নির্গমণের ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা আশ্চর্যজনকভাবে বাড়ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

পৃথিবীর গড় উষ্ণতার উপর নজর রাখা এ সংস্থাটি জানায়, ২০১৫ সালের মতো ২০১৭ সালেও পৃথিবীর উষ্ণতা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ২০১৫ সালটি ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ উষ্ণতম বছর। তবে ২০১৬ সালে বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা কিছুটা নিচে নেমে এসেছিল বলেও জানায় সংস্থাটি।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানায়, ১৮৮০ সালের তাপমাত্রাকে ভিত্তি ধরে প্রতিবছরই বিশ্বের জলবায়ুর উপর প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। সংস্থাটি জানায়, পৃথিবীর এ তাপমাত্রা ২০১৭ সালে বৃদ্ধি পেয়েছে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে সংস্থাটি।

শুধু বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থাই নয়, মহাকাশ গবেষনা সংস্থা নাসা, নোয়া, যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং জাপানের আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট এজেন্সি জানিয়েছে ২০১৭ সালটি পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সর্বোচ্চ উষ্ণতম বছর।

এদিকে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে আট কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত একই ধরণের উষ্ণতা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে নাসা। এদিকে সমুদ্রের পানি ও বাতাসের তাপমাত্রার প্রভাবের কারণে বরফ গলে থাকে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। ২০১৭ সালে পৃথিবীর যে এলাকাগুলোতে বরফ রয়েছে, তা আগের বছরের তুলনায় বেশিমাত্রায় গলেছে বলে জানিয়েছে নাসা।

এদিকে একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর তাপমাত্রা যাতে আর বাড়তে না পারে সে ব্যাপারে বিশ্বের কার্বণ নিঃসরণকারী দেশগুলো একমত হলেও সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ণে তাদের অনীহা দেখা গেছে। ২০১৫ সালে করা মারাক্কাশ সম্মেলন ও প্যারিস চুক্তি জলবায়ু সুরক্ষায় কোন কাজে আসছে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

 

ওই চুক্তিতে বলা হয়, এই শতকে পৃথিবীর তাপমাত্রা যাতে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়তে না পারে সে ব্যাপারে পৃথিবীর দেশগুলোকে নজর দিতে হবে। কিন্তু ১৯ বছর না যেতেই দেখা গেছে পৃথিবীর তাপমাত্রা ওই লেভেলের চেয়ে বেশি মাত্রায় বাড়ছে।

এদিকে আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি বলছে, পৃথিবীর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ মানুষের অপরিণামদর্শী কার্যক্রম। আর পৃথিবীর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ জ্বালানি তেলের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার। জ্বালানি তেল পোড়ানোর ফলে পৃথিবীতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়েই চলছে। বাতাসে বর্তমানে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৪০৭ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) ছাড়িয়েছে। তবে ১৮৮০ সালে বাতাসে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ২৮০ পিপিএম।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এমন একটি সময় এ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু ইস্যুতে দেশটির দেওয়া অর্থ তহবিল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া আগামী সপ্তাহে সুইজার‌ল্যান্ডের রাজধানী জেনেভাতে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

সুত্র: আল-জাজিরা
এমজে/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি