ঢাকা, শনিবার   ১০ মে ২০২৫

অশ্ব রোগের চিকিৎসায় ওলকচু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৭, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

ওলকচুর রয়েছে নানামুখী উপকার। রয়েছে অনেক গুন। ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়ার’ বইয়ে তুলে ধরেছেন এর ওষুধী গুণাবলি। একুশে টেলিভিশন অনলাইনে তা তুলে ধরা হলো-

১) অর্শ রোগে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে, কিডনী বা হার্টের দোষ না থাকলেও যদি পায়ে শোথ নামে

২) অর্শ্বের রক্তস্রাব হলে

৩) অর্শ থেকে গেটে বাত হলে

৪) বাতের ব্যথায় ৭৫-১০০ গ্রাম এক টুকরা ওল খোসা ফেলে মাটি লেপে রোদে অল্প শুকিয়ে উনুনে ফেলে পোড়াতে হবে। এই ঝলসা পোড়া ওল থেতলে নিয়ে ঘি দিয়ে মেখে ব্যবহার করলে উপরোক্ত সমস্যার উপশম হবে।

পরিচিতি-

ওল শব্দটি প্রাক আর্য ভাষার ‘ ওল্ল’ শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘বাহিরে সরল ভিতরে গরল’। ওল একটি বর্ষজীবী কন্দ উদ্ভব গুল্ম, সাধারণত এক মিটার পর্যন্তু উচু হয়। একটি কন্দ থেকে একাধিক সরল ও রসালো কাণ্ড বের হয়। সবুজ কাণ্ডের ওপর সাদা সাদা ছোপ থাকে। প্রতি কাণ্ডের শীর্ষ থেকে পাতা ছাতার ন্যায় চারিদিকে ছড়িয়ে থাকে। কাণ্ডের ন্যায় পাত এবং পত্রদণ্ডে ও রসালো। গুলের কন্দ ৩০-৪০ সেন্টিমিটার ব্যাস পর্যন্ত হতে দেখা যায়। প্রধান কন্দের চারিদিকে আবার ছোট ছোট গোলাকৃতি কন্দ জন্মে। গুলের রং হালকা গোলাপী থেকে সাদাটে বর্ণের হয়। ওল থেকে সাদা সাদা মোটা শিকড় বের হয়।

সমগ্র এশিয়া ও আফ্রিকায় ওলের ২৫টি প্রজাতি আছে এর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকায় ৭টি প্রজতি পাওয়া যায়। একটি বুনো ওল আমাদের চোখে পড়ে যার কন্দের রং একটু লালচে এবং এর কন্দের কোষে Calcium oxalate – এর গুচ্ছ থাকে যা ওটা খাওয়ার সময় গলায় বেঁধে যায় ও চুলকায় এবং ফুলে যায়। তবে তেতুল বা লেবু খেলে এগুলি গলে যায়, এতে ওই অসুবিধা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

 

এসইউএ/এসএইচ

 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি