ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫

আমার ছেলে হত্যাকারী নয়: ইফতির বাবা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৩, ১১ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ১১:৪৫, ১১ অক্টোবর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি রাজবাড়ীর ইফতি মোশাররফ সকাল (২১) জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন তার বাবা ফকির মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন,  এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার ছেলে ইফতি জড়িত নয়, পরিস্থিতির শিকার।

ইফতির বাবা ফকির মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, টেলিভিশনে সংবাদ দেখে তিনি জানতে পারেন তার ছেলে সকাল আবরার হত্যায় জড়িত। কিন্তু তিনি কোনোভাবেই এটি বিশ্বাস করতে পারছেন না। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার ছেলে জড়িত নয়, সে পরিস্থিতির শিকার।

তিনি আরও জানান, কোরবানির ঈদের পর সকাল ক্যাম্পাসে যায়। এরপর আর বাড়িতে আসেনি। রাজবাড়ীতে পড়াশুনাকালীন তার মধ্যে উচ্ছৃঙ্খল কিছু দেখেননি। এছাড়া কোনো রাজনৈতিক সংগঠন তো দূরের কথা, সে কোনো আড্ডায়ও যেত না। সব সময় সে পড়াশুনা নিয়ে থাকতো।

এক প্রশ্নের জবাবে ফকির মোশাররফ হোসেন বলেন, গত তিন মাস আগে সকাল জানায় ক্যাম্পাসে সে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। তখন আমি বলি- এসব ঝামেলার মধ্যে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এছাড়াও সকাল শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িতের বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।

সকালের বাবা জানান, তিনি ছাত্র জীবনে বিএনপির রাজনীতি করতেন। কিন্তু এখন কোনো দলের রাজনীতি করেন না। তবে আবরার হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার চান তিনি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি রাজবাড়ীর ইফতি মোশাররফ সকাল (২১)। তিনি রাজবাড়ী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ধুঞ্চি গ্রামের ২৮ কলোনী এলাকার ফকির মোশাররফ হোসেনের ছেলে। ফকির মোশাররফ শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়িয়ে সংসার চালান।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইফতি মোশাররফ সকাল দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার ছোট ভাই রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার জেএসসি পরীক্ষার্থী। সকাল রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর ভর্তি হন ঢাকার নটরডেম কলেজে। এরপর সেখান থেকে ভর্তি হন বুয়েটে। রাজবাড়ীতে থাকতে কোনো ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না তিনি। বুয়েটে ভর্তির পর ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। কমিটিতে ছাত্রলীগ বুয়েট শাখায় উপ সমাজসেবা সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি