ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৫

এক রসগোল্লা দুই কেজি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১৭, ২ জুলাই ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

মেহেরপুর  সদর উপজেলার শ্যামপুর বাজারের ‘মহিবুল মিষ্টান্ন ভান্ডারে’ পাওয়া যাচ্ছে দুই কেজি ওজনের রসগোল্লা। ইতোমধ্যে এ রসগোল্লার খ্যাতি ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়, বেড়েছে বিক্রি।

জেলা শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরের কৃষিনির্ভর এই গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠেছে বাজার। এ বাজারেই সেমিপাকা একটি ঘরে ‘মহিবুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’। সেখানে কাচে ঘেরা আলমারির মাঝে বড় বড় পাত্রে রসে টইটুম্বুর করছে রসে ভরা রসগোল্লা। যার একেকটির ওজন ২ কেজি করে। এক কেজি, আধাকেজি, একশ’ গ্রামের রসগোল্লাও সেখানে আছে। আছে রসমালাই, চমচমসহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি।

যারা এই মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে এসেছেন তারা মিষ্টির আকার দেখে কিনে নিচ্ছেন এক বা দুই কেজি ওজনের একেকটি রসগোল্লা। মিষ্টির কারিগর মহিবুল ইসলাম এই গ্রামেরই ছেলে। তিনি চার বছর আগেও ছিলেন সবজি বিক্রেতা। বড় রসগোল্লা তৈরির কারণে মহিবুলের নাম ছড়িয়ে পড়ছে।


মহিবুলের মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে গিয়ে দেখা যায় অনেকেই বাইরে অপেক্ষা করছেন মিষ্টির সাধ নেবার জন্য। দোকানে একটি কাচে ঘেরা আলমারির মধ্যে রসে ডোবানো বড় বড় মিষ্টি।


কলেজ পড়ুয়া সাইফুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা জানান, প্রতি সপ্তাহেই তারা বন্ধুরা মিলে একটি মিষ্টি নিয়ে ভাগ করে খান। গ্রামের অনেকেই জানালেন মিষ্টির চাহিদা দেখে গ্রামের অনেক মিষ্টির কারিগর মিষ্টির দোকান দিয়ে বসে। কিন্তু মহিবুলের মতো স্বাদের মিষ্টি বানাতে না পারায় একমাসের মধ্যেই প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে নিয়েছে।



মিষ্টির কারিগর মহিবুল জানান, শহরের অনেক মিষ্টির দোকানের কারিগর তার কাছ থেকে এমন বড় মিষ্টি তৈরির কলাকৌশল শিখতে আসে। তিনি জানান, এই মিষ্টি তৈরির সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। ছানা হতে হবে নির্ভেজাল, জেলার বাইরেও এই মিষ্টির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে বলেও জানান তিনি। আগে প্রতিদিন একমণ মিষ্টি বিক্রি হলেও এখন আরও চাহিদা বেড়েছে।

 

আর/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি