গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন, বিচার শুরু
প্রকাশিত : ১২:৫১, ১০ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৩১, ১০ জুলাই ২০২৫

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এর মাধ্যমে জুলাই গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন নিজের অপরাধ স্বীকার করে রাজস্বাক্ষী হয়েছেন বলে প্রসিকিউশন জানিয়েছে।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আসামীদের পক্ষে ছিলেন পক্ষে ছিলেন শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত পহেলা জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফর্মাল চার্জ) আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলায় অভিযুক্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।
এদিন প্রথম ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
গত ১৬ জুন ট্র্যাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আগামী সাতদিনের মধ্যে হাজির হতে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। পরদিন দু’টি পত্রিকায় শেখ হাসিনা ও কামালকে সাতদিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
তবে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও পলাতক দুই আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল পহেলা জুলাই অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। সে ধারাবাহিকতায় পহেলা জুলাই শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য ট্রাইব্যুনাল-১ আজ সোমবার দিন ধার্য করেছিল।
এএইচ
আরও পড়ুন