জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায় কমিশন
প্রকাশিত : ১৭:০৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৭:০৬, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে ২১ সেপ্টেম্বরের (রোববার) মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায় কমিশন। তবে ব্যর্থ হলে তা ২ অক্টোবরের পরে চলে যেতে পারে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার শুরুতেই এ কথা বলেন তিনি।
এসময় অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে চারটি পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আলী রীয়াজ বলেন, বিশেষজ্ঞরা অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট ও বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হয়েছে। কমিশন কোনো অবস্থাতেই এক মাস সময় নিয়ে এই আলোচনা অব্যাহত রাখতে উৎসাহী নয়। আমরা মনে করি না যে আগামী এক মাস ধরে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা করতে হবে। আমরা খুব দ্রুত একটা ঐকমত্যের জায়গায় উপনীত হতে পারব।
ঐকমত্য কমিশনের এই সহ-সভাপতি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে চায় কমিশন। জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে যাবেন এবং ২ অক্টোবর তিনি দেশে ফিরে আসবেন।
আশাবাদ ব্যক্ত করে আলী রীয়াজ বলেন, গণভোট ও সাংবিধানিক আদেশ এই দুটো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ভিন্নমত ছিল তা কাটিয়ে উঠে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে দ্রুতই আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। সেই হিসাবে গত ১৫ আগস্ট এই কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কমিশনের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম দফায় ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করে সরকার। এখন দ্বিতীয় ধাপে কমিশনের মেয়াদ ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।
এএইচ
আরও পড়ুন