ঢাকা, সোমবার   ২১ জুলাই ২০২৫

টাকায় জিপিএ-৫ পাওয়ার একটা প্রমাণ কেউ দিতে পারবে: শিক্ষামন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১৩, ২৮ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৫:২৭, ২৮ জুন ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

টাকায় জিপিএ-৫ বিক্রির অভিযোগ খণ্ডন করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘জিপিএ-৫ টাকায় বিক্রি হয়- এ ধরনের একটা খবর একটা টিভিতে প্রচার করা হয়েছে। তবে এটা প্রমাণিত হয়নি যে, অমুকে জিপিএ-২ পেয়েছিল, তাকে টাকার বিনিময়ে জিপিএ-৫ দেওয়া হয়েছে। তারপরও আমরা বোর্ড থেকে বুয়েটের একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। এছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটি কমিটি করেছি। টাকার বিনিময়ে জিপিএ-৫ পাইয়ে দিয়েছে এমন একটা নাম কি তারা দিতে পারবে? একটা প্রমাণ কি দিতে পারবে? তবে আমি অভিযোগ অস্বীকার করছি না। প্রতিবেদন এলে বলতে পারবো। সরাসরি অভিযোগ করলে খুবই অবিচার হবে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে সিঙ্গাপুর-ভারতের উদাহরণ টেনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘প্রযুক্তির যুগে প্রশ্নফাঁস সব জায়গাতেই হয়।
আজকের অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে বরাদ্দের বিরোধিতা করে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) নয় সদস্য (এমপি) ছাঁটাই প্রস্তাব দেন।
বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত ১৮ হাজার ১৬৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম এ বরাদ্দের বিরোধিতা করে বলেন, ‘শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। কিন্তু যে মন্ত্রণালয়ে জিপিএ-৫ কেনা-বেচার ঘটনা ঘটে। এগুলো খারাপ কাজ। এসব বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যতক্ষণ এটা ঠিক না করবে, ততক্ষণ টাকা ছাড় করা ঠিক হবে না।
রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, আমাদের শিক্ষকরা এমপিওভূক্তির জন্য রাস্তায় বসে অনশন করছেন। তাদের বিষয়টি বিবেচনা করে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। তবে এসব সমস্যার সমাধান না করে বরাদ্দ বাড়িয়ে কী হবে?
/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি