ঢাকা, শনিবার   ১২ জুলাই ২০২৫

তরুণদের মুখোমুখি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:২০, ১২ নভেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

নির্বাচনের আগে তরুণদের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে নিজের ভাবনার কথা ভাগাভাগি করতে ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।    

অনুষ্ঠানটির আয়োজক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ১৬ নভেম্বর ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নতুন প্রজন্ম ও বাংলাদেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার ভবিষ্যৎ ভাবনার কথা জানাবেন; শুনবেন তরুণদের স্বপ্ন, স্বপ্ন পূরণ এবং স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কথা।

‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’অনুষ্ঠানটি ওইদিন গণভবনে বিকেল ৩-৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। দেশের বেশকয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের তরুণদের কাছে সবচাইতে জনপ্রিয় নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর কেন তরুণদের কাছে তার জনপ্রিয়তা, সেটি আরো একবার প্রমাণ করতে ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হচ্ছেন তিনি।”

সারা দেশ থেকে বাছাই করা ১৫০ জন তরুণের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন নীতিনির্ধারনী বিষয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

বিভিন্ন পেশাজীবী, চাকরিজীবী, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত এবং দেশ গঠনে উদ্যোমী তরুণ প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন এই আয়োজনে।

তরুণদের জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন নীতি, ভবিষ্যতে উন্নত বাংলাদেশ গড়ায় বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা এবং সার্বিকভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন তরুণরা।

সিআরআই বলছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘প্রথমবারের মতো’ প্রধানমন্ত্রী তরুণদের মুখোমুখি হচ্ছেন।

বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দিতে এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার তারুণ্যের সময় নিয়ে নতুন বেশ কিছু তথ্য জানাবেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর জীবনযাপন নিয়েও আলোচনা হবে এই আয়োজনে। ব্যক্তিগত জীবন, নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা নিয়েও তরুণদের সাথে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী।

তরুণরা যাতে দেশের নীতি নির্ধারকদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করতে এবং নিজেদের ভাবনা ও সমস্যাগুলোর কথা নীতি নির্ধারকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন সেজন্য সিআরআই নিয়মিত আয়োজন করে আসছে ‘লেটস টক’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বেশ কয়েকবার এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন।

সিআরআইএর সিনিয়র বিশ্লেষক ও সমন্বয়ক শাহ আলী ফরহাদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তরুণদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তিনি বর্তমানকে উৎসর্গ করেছেন। সুতরাং বোঝাই যায় তরুণদের জন্য কতটা আন্তরিক তিনি। সিআরআইর এই আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় চেষ্টা করেছেন সাধারণ মানুষের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে। আর সে কারণেই সাধারণ মানুষের লেখা চিঠি পড়েন তিনি। শুধু তাই নয়, এসব চিঠির উত্তরও দেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় প্রশ্ন করা হলে তিনি উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা নিয়ে বারবার গুরুত্বারোপ করেছেন।”

এসি  

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি