থানায় রক্ষিত ট্রাঙ্ক ভেঙে এইচএসসি প্রশ্নপত্র বের, ২ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
প্রকাশিত : ২১:৪৪, ২০ জুন ২০২৫ | আপডেট: ২১:৪৫, ২০ জুন ২০২৫

নওগাঁর ধামইরহাট থানায় রক্ষিত একটি বাক্সের তালা খুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বের করা হয়েছে। তা ছড়িয়ে পড়েছে কিনা, কিম্বা গোপনে ফাঁস করা হয়েছে কি না তা নিয়ে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ঘটনার সঠিক তদন্তে জেলা প্রশাসন তিন সদস্য বিশিষ্ট ও জেলা পুলিশ তিন সদস্য বিশিষ্ট পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে কমিটি গুলোকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহনের জন্য পশ্নপত্রের একটি ট্রাঙ্ক থানায় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আসে। ট্রাঙ্কটি থানার একটি হাজতখানায় রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা প্রশ্নপত্রের বাক্স পরিদর্শনে গেলে ঘটনা ধরা পরে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরীক্ষা কমিটির সদস্য ও ধামইরহাট সরকারী এমএম ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই ট্রাঙ্কে ধামইরহাট সরকারী এমএম ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের ইতিহাস দ্বিতীয় পত্রের ৭০ মার্কের লিখিত পরীক্ষার ৫০ সেট প্রশ্নপত্র ছিল। বৃহস্পতিবার থানায় গিয়ে দেখা যায়, ট্রাঙ্কের তালা খোলা। ট্রাঙ্কের ভেতর থেকে প্রশ্নপত্র বের করা হয়েছে এবং বাইরে দুটি প্রশ্নপত্র ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া যায়।
বাক্স ভেঙ্গে প্রশ্নপত্র বের করা হলেও তা বাইরে ছড়িয়ে পরেনি বলে দাবি করেছেন নওগাঁর পুলিশ সপার সাফিউল সারোয়ার। এসপি বলেন, থানার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এ বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন তারা।
অন্যদিকে দ্বায়িত্বে অবহেলার দায়ে ইতোমধ্যে ধামইরহাট থানার একজন সাব ইন্সপেক্টর ও একজন কনসটেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে তাদের নাম পরিচয় তিনি নিশ্চিত করেননি।
এসপি আরও বলেন, ঘটনা তদন্তে পত্নীতলা পুলিশ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তদন্ত করছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদেরকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম বলেন, যিনি হাজতখানায় রাখা ট্রাঙ্ক থেকে প্রশ্নপত্র বের করেছেন তাকে সামান্য সময়ের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় আনা হয়েছিল। তবে তদন্তের সার্থে সেই ব্যক্তির পরিচয় জানানো হচ্ছে না।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি সাদিয়া আফরিন বলেন, তদন্তের কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রশ্নপত্রগুলো সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে গাফলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পরেছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি।
আগামীকাল শনিবার ধামইরহাট থানায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনা তদন্তে যাবেন বলে জানা গেছে।
এএইচ
আরও পড়ুন