ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪

দুর্বল হয়ে পড়েছে তিতলি, প্রভাব পড়ছে না বাংলাদেশে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৪০, ১১ অক্টোবর ২০১৮

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যার মাঝামাঝি এলাকায় আছড়ে পড়েছে। এটি স্থলভাগ দিয়ে উপরের দিকে সরতে সরতে দুর্বল হয়ে পড়ছে। সে কারণে এর কোনো বড় প্রভাব বাংলাদেশে পড়ছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা অধিদফতর। তবে ঝড়ের প্রভাবে আরও কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হবে।

উপকূলীয় বন্দরগুলোতে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, তিতলি নিয়ে শঙ্কা কেটে গেছে।  তবু ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমাদের সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই ঘুর্ণিঝড় থেকে বাংলাদেশের আর ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে, তিতলির আঘাতের ১৯টি জেলা আক্রান্তের আশঙ্কা ছিল। এসব জেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। এসব জেলায় সব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলায় আঘাত হানার সময় ‘তিতলি’র গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। অন্ধ্রে প্রলয়কাণ্ড চালিয়ে উত্তরের দিকে এসে উড়িষ্যার গানজাম জেলায় আছড়ে পড়ার সময় এর তীব্রতা কিছুটা কমে যায়। সেসময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার পর্যন্ত।

 

তিতলি আগামীকাল শুক্রবার নাগাদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করবে। তবে ততক্ষণে সেটি নিম্নচাপ বা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, স্থলভাগে এসে ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে। তাই আশা করা করা যাচ্ছে, বাংলাদেশ পর্যন্ত পৌঁছে এই ঝড়ের তীব্রতা অনেকটাই প্রশমিত হবে। তবে এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ভারি বর্ষণ হচ্ছে। এটি আরও দু’একদিন অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়া অধিদফতর থেকে পাওয়া শেষ খবর পর্যন্ত পটুয়াখালির খেপুপাড়ায় ৭৭ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ৪৭ মিলিমিটার, বরিশালে ৩০ মিলিমিটার, যশোরে ৩১ মিলিমিটার, সাতক্ষীরাতে ৫২ মিলিমিটার, মংলায় ৩৪ মিলিমিটার, টেকনাফে ৫৫ মিলিমিটার, কুতুবদিয়ায় ৩২ মিলিমিটার ও কক্সবাজারে ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

 ‘তিতলি’ দুর্বল হয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়েও থাকতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি