ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৩২, ২৩ আগস্ট ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বগুড়ার ধুনট উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক নারী বাদী হয়ে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালতে মামলাটি করেন। শুনানি শেষে আদালত ওই নারীর অভিযোগ এজাহার হিসেবে নিতে থানার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  মামলার অভিযোগ ও আদালতে করা মামলার এক নম্বর আসামি ধুনটের মাঠপাড়া গ্রামের লিমন হোসেনের (২০) সঙ্গে প্রায় তিন মাস আগে মুঠোফোনে টাঙ্গাইলের এক নারীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। ১৪ আগস্ট ওই নারী প্রেমের টানে লিমনের কাছে চলে যান। লিমন ওই নারীকে শেরপুর উপজেলার সকাল বাজার এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যান এবং বিয়ের কথা বলে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

পরদিন সকালে লিমন ওই নারীকে তাঁর নিজ গ্রাম ধুনট সদর ইউনিয়নের মাঠপাড়ায় নিয়ে যান। এরপর ওই নারীকে লিমন তাঁর গ্রামের দুই বন্ধু ইব্রাহীম হোসেন (২৪) ও মুকুল হোসেনের (২০) হাতে তুলে দিয়ে পালিয়ে যান। ইব্রাহীম ও মুকুল ওই নারীকে একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।

পরে ওই নারী বিচারের জন্য সন্ধ্যার দিকে সদর ইউপির চেয়ারম্যান লাল মিয়ার বাড়িতে যান। এ সময় লাল মিয়া এ অভিযোগের বিচার করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে ওই নারীকে তাঁর বাড়িতে রেখে ধর্ষণ করেন। পরদিন সকালে ওই নারী ধুনট থানায় গিয়ে মামলা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত ওই নারী গতকাল দুপুরে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালতে গিয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইমদাদুল হক থানার পুলিশকে এজাহার হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

অভিযোগের বিষয়ে ধুনট সদর ইউপির চেয়ারম্যান লাল মিয়া বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আদালতে করা মামলার এক নম্বর সাক্ষী ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় ১০-১২টি মামলা রয়েছে। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে মাদকসহ ইউসুফ আলীকে কয়েকবার আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছি। ইউসুফ জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। ইউসুফ তার ভাড়া করা এক নারীকে দিয়ে এই মিথ্যা মামলা করিয়েছে।’

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা করার কথা মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে আদালতের কোনো আদেশ এখনো পাইনি। আদেশ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ওসি দাবি করেন, ওই নারী কখনো তাঁর থানায় কোনো অভিযোগ নিয়ে যাননি। পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।

কেআই/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি