ঢাকা, বুধবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নির্বাচনের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে: সালাহউদ্দিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২০:৪১, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে যে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই দেশের মানুষ নির্বাচনের পথে কোনো বিলম্ব বা বাধা সৃষ্টি করার রাজনৈতিক কৌশল প্রত্যাখ্যান করবে।’ 

বাংলাদেশের জনগণ গত ১৬-১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই দেশের মানুষ টানা ১৬-১৭ বছর ধরে লড়াই করেছে, রক্ত দিয়েছে, হাজারো মানুষ শহীদ হয়েছে- কিসের জন্য? ভোটাধিকার আদায়ের জন্য, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এবং সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। তারা রক্ত দিয়েছে একটি ন্যায্য সামাজিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য। এগুলো কেবল তখনই সম্ভব যখন একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’

ঐক্যমত্য কমিশন চলমান থাকাকালীন রাজনৈতিক বিক্ষোভকে স্ববিরোধী উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন আগামীকাল তার পরবর্তী সভা ডেকেছে। এই আলোচনা চলমান থাকাকালীন একই দাবির জন্য রাজপথে বিক্ষোভ ঘোষণা করা কতটা উপযুক্ত তা জনগণ বিবেচনা করবে।’

তিনি বলেন, ‘নিম্নকক্ষের নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে কোনো আলোচনা হয়নি। যারা এখন নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলন করছে, তারাও ওই আলোচনায় অংশ নিয়েছিল।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যদি কোনও রাজনৈতিক দল মাঠে এই দাবি উত্থাপন করে, তাহলে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের বিরোধী মতামতও প্রকাশ করব। আমরা ইতোমধ্যে বলেছি যে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নিম্ন বা উচ্চকক্ষে পিআর ব্যবস্থা চাই না। আমরা কেন এটি চাই না তার যুক্তিও দিয়েছি।’

পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বা নির্বাচনী ইতিহাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বিশ্বে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের পিআর পদ্ধতি রয়েছে। আমরা প্রতিবেশী একটি দেশে পিআর পদ্ধতির পরিণতি দেখতে পাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে সরকারের ব্যবস্থাপনা খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই সরকার গঠন করা খুব কঠিন হয়ে যায়। যার ফলে অস্থিতিশীল সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং স্থায়ীভাবে জোট ভিত্তিক সংসদ ও জোট সরকার গঠিত হয়। এতে জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।’

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি