নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে না ইউরোপীয় পার্লামেন্ট
প্রকাশিত : ১৩:০৬, ২৮ নভেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে না ইউরোপীয় পার্লামেন্ট (ইপি)। ইপির ডেমোক্রেসি সাপোর্ট অ্যান্ড ইলেকশন কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের দুজন সহযোগী চেয়ারপারসন ডেভিড ম্যাকঅ্যালিসটার ও লিন্ডা ম্যাকএভান গতকাল মঙ্গলবার এই বিবৃতি দিয়েছেন।
তবে বিবৃতিতে পর্যবেক্ষক না পাঠনোর সুস্পষ্ট কোনো কারণ ব্যাখ্যা করা না হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজি টিরিংক বাজেট না থাকার কথা বলেছেন।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবার নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করবে না। ফলে নির্বাচনের প্রক্রিয়া বা পরবর্তী ফলাফল নিয়েও কোনো মন্তব্য করবেন না তারা।’ এমনকি ইপির কোনো সদস্যকে এই নির্বাচন (একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) পর্যবেক্ষণ করা বা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বিবৃতিতে তারা আরও জানিয়েছে, ‘আমাদের কোনো সদস্য যদি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেন, তবে তা কোনোভাবেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভাষ্য হবে না।’
এদিকে আসন্ন ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন ‘শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছতার সঙ্গে’ হবে বলে আশা প্রকাশ করে সেখানে সব রাজনৈতিক পক্ষকে ‘সহিংসতা ও উসকানির পথ’ পরিহারের আহ্বান জানিয়েছে ইপি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রীতি অনুযায়ী, ইপি কাউকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দিলে তারা ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনের সঙ্গেই কাজ করেন। কিন্তু গত অক্টোবর নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছিল, এবারের নির্বাচনে তারা পূর্ণাঙ্গ কোনো পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাবে না। কেবল দুজন বিশেষজ্ঞ নির্বাচন দেখতে বাংলাদেশে আসবেন। ওই দুই বিশেষজ্ঞ ইতিমধ্যে ঢাকা পৌঁছেছেন। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।
এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনেও ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক মিশনের সফর বাতিল করতে হয়েছিল।
আরকে//
আরও পড়ুন