উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
পদে থেকে প্রার্থিতা বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত আজ
প্রকাশিত : ১০:০৮, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১১:৫৬, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী সদস্যরা প্রার্থী হতে চাইলে পদত্যাগ করতে হবে কি না—সে বিষয়ে আজ শনিবার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যামান বিধানে এ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে তাদের পদত্যাগ করতে হবে এমন কথা কোথাও উল্লেখ নেই। বরং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ২৬ বিধিতে পদে বহাল থেকে প্রার্থী হলে কী ধরনের আচরণবিধি তাদের জন্য প্রয়োজ্য তা বলা আছে। কিন্তু সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা প্রার্থী হতে পারেননি। ওই নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসাররা প্রথমে ৩২ জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এ ক্ষেত্রে দণ্ডবিধির ২১ ধারা এবং তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা না করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়।
দণ্ডবিধির ২১ ধারায় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও মিউনিসিপ্যালের কমিশনারদের সরকারি কর্মচারী বলা হয়েছে। এ ছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে তিনি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ ধারা সম্পর্কে ইসি ও আদালতের ব্যাখ্যায় সিটি করপোরেশন ও পৌর মেয়রের পদকে লাভজনক পদ হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের বিষয়টি আগে স্পষ্ট ছিল না।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে কমিশন তাদের অনেকের আপিল মঞ্জুর করেন। এরপর কমিশনের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট হলে হাইকোর্ট তাদের প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ দেন এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদকে লাভজনক বলে ঘোষণা দেন। এ অবস্থায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী সদস্যসহ অন্যান্য স্থানীয় সরকারের চেয়ারম্যান, মেয়র ও কাউন্সিলর বা সদস্যরা পদত্যাগ না করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কি না সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আজ সিদ্ধান্ত নেবে।
এসএ/
আরও পড়ুন