বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
প্রকাশিত : ১৬:৫৬, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের উভয়মুখী যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকার শতভাগ রপ্তানিমুখী সোয়েটার ‘কারখানা কোরেস বাংলাদেশ পিএলসি’–এর কয়েকশ’ শ্রমিক রাস্তায় নেমে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
একপর্যায়ে ঢাকামুখী ও চট্টগ্রামমুখী উভয় লেন বন্ধ হয়ে গেলে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে মহাসড়কে আটকে পড়া যাত্রী ও যানবাহন চালকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই জুলহাস উদ্দিন ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল বারিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে বেলা ২টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
এসময় শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, মালিকপক্ষ বিনা নোটিশে শ্রমিক ছাঁটাই করছে এবং বেতন পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এ অবস্থায় কর্মসংস্থান রক্ষা ও পাওনা বেতন পরিশোধের দাবিতে তারা সড়ক অবরোধে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান শ্রমিকরা।
কোরেশ গার্মেন্টসের ডিরেক্টর মেজর মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, পেছন থেকে কিছু লোক শ্রমিকদের ইন্ধন দিয়ে এমন কাজ করাচ্ছে। শ্রমিকরা ভাবছে ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে। বিষয়টা আসলে এমন নয়। আমাদের এ মাসে কাজ কম। এজন্য গত নভেম্বর মাসের বেতন বকেয়া আছে। এছাড়া আমাদের ব্যাংকে ফান্ড রয়েছে। এই মাসে ফান্ডজনিত সমস্যার কারণে বেতন বকেয়া রয়েছে। আমি ফ্যাক্টরিতে যাচ্ছি। শ্রমিকদের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে বসে সমাধান করব।
ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, আমরা খবর পেয়ে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেই এবং মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের জন্য বলেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
এমআর//
আরও পড়ুন










