ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পথ দেখাবে : রাবাব ফাতিমা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪৭, ১৬ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৪:৪৮, ১৬ আগস্ট ২০২০

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বলেছেন, বিশ্বমানবতাকে সমুন্নত রাখতে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও ত্যাগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পথ দেখাবে। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি শনিবার এ কথা বলেন। মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়।

কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষিতে নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব মেনে মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১১টায় আয়োজন করা হয় জাতীয় শোক দিবসের এ অনুষ্ঠান। এর আগে স্থায়ী মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মাধ্যমে শোক দিবসের কর্মসূচি শুরু করা হয়। এ সময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। 

বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা, বঙ্গমাতা এবং শহীদ পরিবারবর্গসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

মোনাজাতের পর বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার নেতৃত্বে মিশনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত একটি বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বিশ্বব্যাপী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের প্রাক্কালে এবারের জাতীয় শোক দিবসের এ অনুষ্ঠান বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রথমবারের মতো দেয়া জাতির পিতার বাংলায় ভাষণের উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আজ পৃথিবীর সব দেশ এজেন্ডা ২০৩০-এর ১৭টি অভীষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে এর অধিকাংশের কথাই রয়েছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে দেয়া জাতির পিতার সেই ভাষণে শিক্ষা, সাম্যতা এবং সম্মানজনক জীবন ও জীবিকার কথা রয়েছে। তিনি জাতীয়তার সীমা পেরিয়ে আন্তর্জাতিকতাকে স্পর্শ করেছেন। তাঁর এই ভাষণে ফুটে উঠেছে বিশ্ব মানবতার আশা আকাঙ্খা। তিনি শান্তির কথা বলেছেন, মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন, বহুপাক্ষিকতার কথা বলেছেন, উন্নত বিশ্ব ব্যবস্থার কথা বলেছেন, মানুষের ন্যায় সঙ্গত অধিকারের কথা বলেছেন। এমন ভাষণ কেবল তাঁর মতো একজন বিশ্বনেতার পক্ষেই দেয়া সম্ভব।

পঁচাত্তরের পনের আগস্টের প্রেক্ষাপটসহ জাতির পিতার জীবন ও কর্ম তুলে ধরে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে  রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “জাতির পিতার এ আদর্শ ও দেশপ্রেমের নিরন্তর অনুশীলন প্রয়োজন। জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, মুজিব গ্রাফিক্স নোবেল আজ বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিলে পরিণত হয়েছে। এসব বই পড়তে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে হবে। প্রতিনিয়ত জাতির পিতার জীবন ও আদর্শ চর্চার মাধ্যমেই গড়ে উঠবে দেশপ্রেমিক, উন্নত চিন্তার নতুন প্রজন্ম।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১, রূপকল্প ২০৪১ এবং ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নে সকলকে আরও নিবেদিত হওয়ার আহবান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা গড়ে তুলব জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা। জাতীয় শোক দিবসে এটাই হোক আমাদের অংগীকার।” সূত্র: বাসস

এএইচ/এমবি
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি