ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ জুলাই ২০২৫

বন্যার পানি নেমে স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৭, ২৪ জুন ২০২২

Ekushey Television Ltd.

দেশের উত্তরাঞ্চলের বেশকিছু অঞ্চল থেকে নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। সেই সাথে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে ক্ষয় ক্ষতি। বাড়ছে নদীভাঙন। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে পারলেও ভুগতে হচ্ছে পানিবাহিত রোগে। এদিকে এখনো বিপৎসীমার উপরে রয়েছে বেশকিছু নদ-নদীর পানি। তাই বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক পরিস্থিতির তেমন উন্নতি নেই। 

উজানের ঢল কমেছে, তবে সিলেটের কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার উপরে। পানি কমলেও অনেক বাসা-বাড়িতে এখনো পুরোপুরি পানিমুক্ত নয়। যে কারণে আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে পারছেন না বানভাসিরা। 

প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যার কারণে পদ্মাসেতু উদ্বোধনে শনিবার সিলেটে কোনো উৎসব হচ্ছে না। আলোচনা সভা দিয়েই সারা হবে সংক্ষিপ্ত আয়োজন।

সুনামগঞ্জে শহর এলাকার পানি নামলেও নিম্নাঞ্চল এখনো প্লাবিত। আশ্রয়কেন্দ্রে ভিড় কমেনি। রাস্তার পাশে তাবু টাঙিয়ে বসবাস করছেন অনেকে, রাখা হয়েছে গবাদিপশুও। নানাপর্যায়ে ত্রাণ সহায়তা চললেও তা পর্যাপ্ত নয়, বলছেন দুর্গতরা।

নেত্রকোণায় নদ-নদীর পানি কমলেও এখনো পানিবন্দি দুই লক্ষাধিক মানুষ। রয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট। বন্যার্তদের মাঝে খাদ্যসহায়তা ও চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে সেনাবাহিনী।

বন্যার্তরা আক্রান্ত হচ্ছেন জ্বর, পাতলা পায়খানাসহ পানিবাহিত নানা রোগে। 

আশ্রয়কেন্দ্রে ও দুর্গত এলাকায় কাজ করছে মেডিকেল টিম। তবে লোকবল ও প্রয়োজনীয় যানবাহনের অভাবে বানভাসিদের পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দিতে পারছেন না তারা।

নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নামলেও লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে তিস্তা ও ধরলার ভাঙন। ভাঙনকবলিত অধিকাংশ মানুষকে দিন কাটাতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। 

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি সামান্য কমলেও কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালীর চরাঞ্চল এখনো নিমজ্জিত। সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ বন্যার্তদের।

পানি কমলেও গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদী এখনো বিপৎসীমার উপরে বইছে। দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের।

রংপুরে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বৃহস্পতিবার কমেছে ৪৫ সেন্টিমিটার। তবে এখনও তা বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

প্রবল বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১৩ জুন থেকে তিস্তাপারে বন্যা দেখা দেয়। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ২৭টি চরগ্রামের প্রায় ৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। গঙ্গাচড়ার চরাঞ্চলে রাস্তাঘাট ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি