ঢাকা, রবিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বাঁধ নির্মানে গাফিলতি ও অনিয়মের কথা স্বীকার করেছে ৪ কর্মকর্তা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৫০, ৪ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৯:৫৩, ৪ মে ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মানে গাফিলতি ও অনিয়মের কথা স্বীকার করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের চার কর্মকর্তা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এবং পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিবসহ চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ কথা জানান দুদকের প্রশাসনের মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী। এ সময় তিনি জানান, কাজ আদায় এবং মনিটরিংয়ে তারা ব্যার্থ হয়েছে।
পানির এমন স্রোতে বাধ ভেঙ্গে অকাল বন্যায় ফসল হারিয়ে পথে বসেছেন হাওরাঞ্চলের কৃষকরা। অভিযোগ উঠেছে বাধ নির্মানে হয়েছে-অনিয়ম দুর্নীতি। সঠিকভাবে কাজ না হওয়ার কারণেই পানির ধাক্কায় ভেঙ্গে যায় বাধ।
অথচ বাধ ভেঙ্গে জমির ফসল ও বসত ভিটা যাতে হারাতে না হয়, সেজন্য ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় বাঁধ নির্মান করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। অথচ পানির তোরে ভেসেছে সবই।
২০১৬ সালেই সুনামগঞ্জে বাঁধের নির্মান, সংস্কার কাজে অনিয়ম, দূনীতি ও গাফিলতি অভিযোগ এসেছিল। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবেদনও চায় দুনীতি দমন কমিশন। ১০ কার্যদিবসে রিপোর্ট দেয়ার কথা থাকালেও ১০ মাস পর তা জমা দেয় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড। যেখানে বাঁধ ভাঙার জন্য প্রাকৃতিক কারনকে দায়ী করেছে তারা। এ কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর কবীর, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব খলিলুর রহমানসহ চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে গাফিলতি ছিল বাঁধ নির্মানে।
দুদকের এ কর্মকর্তা জানান, বাঁধ নির্মানে যে ঠিকাদার গফিলতি ও ভুল করেছে তাকে আবারও কাজ দেয়া হয়েছে তার প্রমানও পেয়েছেন তারা।
তবে অনিয়ম গাফিলতি ও দুর্নীতির দায়ে এরই মধ্যে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিস্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি