ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫

বাংলা বাক্যে হরহামেশাই ব্যবহৃত হচ্ছে ভুল শব্দ

প্রকাশিত : ১০:৫০, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১৩:৩৩, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বাংলা বাক্যে হরহামেশাই ব্যবহৃত হচ্ছে ভুল শব্দ অথবা শব্দের ভুল উচ্চারণ। স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্নক্ষেত্রে ব্যকরণগত নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করেই চলছে কথা বলা। আর লেখায় চলছে শব্দের ভুল ব্যবহার। শুধু কথা বলা কিংবা লিখায়ই নয়, ব্যানার- সাইনবোর্ড, এমনকি দাপ্তরিক কাজেও শব্দের ভুল ভাবিয়ে তুলছে বিশেষজ্ঞদের। বাংলা ভাষার রয়েছে সমৃদ্ধ শব্দ ভান্ডার। কিন্তু হরহামেশাই সেই ভাষা ব্যবহারে চলছে শব্দের ভুল প্রয়োগ। কোনোটা জেনে, আবার কোনোটা না জেনে করা। এসব কারণে বাড়ছে ভুল শব্দের ব্যবহার। যেমন, পরিচিত শব্দ- জেলাপ্রশাসক, ব্যকরণগত ব্যবহারে জেলা ও প্রশাসকের মধ্যে ফাঁক থাকার কথা না থাকলেও, নথিপত্রসহ খোদ জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়গুলোতেই চোখের পরে এর ভুল প্রয়োগ। একইভাবে ব্যকরণগত ব্যবহারে উচ্চ ও বিদ্যালয়ের মাঝে ফাঁক থাকার কথা না থাকলেও দেশের প্রায় সকল বিদ্যালয়েই শব্দদুটির মাঝে ফাঁক রেখে লেখা হয়। এমনি আরো কিছু শব্দ ..... যেগুলো ফাঁকা রেখে লেখলে এর কোনো ব্যকরণগত ভিত্তিই থাকেনা। সংসদ সদস্য সংসদসদস্য প্রধান শিক্ষক প্রধানশিক্ষক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বসত বাড়ি বসতবাড়ি শিশু বিভাগ শিশুবিভাগ ছাত্র সংগঠন ছাত্রসংগঠন ইত্যাদি। এসব ছাড়াও বেশ কিছু শব্দের ভুল উচ্চারন আর লেখা এমনিভাবে বাংলা ভাষায় গেঁথে গেছে, যার সঠিক শব্দ শুনলে অবাক হতে হয়। গড্ডালিকা গড্ডলিকা এবড়ো থেবড়ো এবড়ো খেবড়ো উল্লেখিত উল্লিখিত সার্বজনীন সর্বজনীন সর্বকনিষ্ঠ কনিষ্ঠতম সর্বশ্রেষ্ঠ শ্রেষ্ঠতম সর্বপ্রথম প্রথম এবং অত্র বলতে কিছু নেই হবে এখানে দেশের বড়বড় প্রতিষ্ঠান, দোকানের সাইনবোর্ড, ব্যানার একটু মনোযোগ দিলেই দেখা যায় বাংলা শব্দের করুণ পরিণতি। শব্দের এমন ভুল ব্যবহার দূর করতে প্রাতিষ্ঠানিক ও চলিত ক্ষেত্রে ব্যাকরণগত ধারণা অর্জনের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সাথে ভবিষৎ প্রজন্মকে জানানোর পাশাপাশি সকলের নিজ নিজ ভাষাজ্ঞান বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।  
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি