ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫

ব্যবসায়ী নজরুল হত্যা মামলায় ১৫ জনের ফাঁসি

প্রকাশিত : ১৬:৩৯, ২০ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১৯:৪৪, ২০ মার্চ ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

রাজধানীর দোহারে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে ১৫ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া দুই নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ দণ্ডাদেশ দেন।

বুধবার (২০ মার্চ) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ দিয়েছেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সিরাজ ওরফে সেরু কারিগর, মিনহাজ ওরফে মিনু, খলিল কারিগর, শাহজাহান কারিগর, কালু ওরফে কুটি কারিগর, আজহার কারিগর, মিরাজ উদ্দিন, মোজ্জামেল ওরফে সুজা, জালাল, বিল্লাল, আ. লতিফ, দিদার, এরশাদ, আ. জলিল কারিগর ও ইব্রাহিম। আর বাকি চারজন পলাতক রয়েছেন।

এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি হচ্ছেন- চায়না বেগম, মজিদুল ওরফে মাজেদ।

মামলার বাদী তার অভিযোগে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাও ওপর হামলা করে আসামিরা। তার স্ত্রী ও মা বাধা দিতে এলে তাদেরও মারধর করা হয়।

২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল ভিকটিম নজরুলের মামা ডা. নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ দোহার থানায় এ মামলা করেন। পরে একই বছরের ২৬ জুলাই জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই আনোয়ারুল করিম ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে ফৈমুদ্দিন নামে এক আসামি মারা যান। পরে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭ জনে।

২০০৯ সালের ২৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আদালতে ১৪ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন কাজী শাহানারা ইয়াসমিন। আর আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ও অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী। এছাড়া পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান।

পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও সাজা পরোয়ানা ইস্যুর আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি