মহুয়া পালার মূলে সংস্কারমুক্ত মানবিক বোধের উত্তরণ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৫৭, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মৈমনসিংহ গীতিকার মহুয়া পালা এখনও রয়েছে মানুষের মুখে মুখে। ১৬৫০ সালে দ্বিজ কানাই মহুয়া পালা রচনা করেন। মহুয়া পালার মূলে রয়েছে ব্যক্তি জীবনের সংস্কারমুক্ত মানবিক বোধের উত্তরণ।
মহুয়া পালায় জমিদারের দেওয়ান নদের চাঁদের সাথে বেদে কন্যা মহুয়ার ছিলো প্রেম। প্রেমের জন্য মহুয়া নিজের জীবন বিসর্জন দিতেও পিছপা হননি।
দীনেশচন্দ্র সেন সম্পাদিত মৈমনসিংহ গীতিকার মহুয়া পালার কাহিনী যুগে যুগে মানুষের মন জয় করে। অমর প্রেম গাঁথা এই পালাগুলো যুগের থাকে আঙ্গিক পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে নাটক, গীতিনাট্য ও নৃত্যনাট্যের ঢংয়ে মঞ্চায়িত হচ্ছে।
এক মঞ্চ শিল্পী বলেন, ‘এটা খুব বেশি মঞ্চস্থ হত। এখন সেভাবে হচ্ছে না, কারণ আমরা সেভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছি না।’
মহুয়া পালাগানে ৭৮৯ ছত্র আছে, যেগুলোকে ২৪টি অধ্যায়ে বিভক্ত করা হয়।
পৃষ্টপোষকতার অভাবে মহুয়ার মতো লোকজ পালা হারিয়ে যেতে বসেছে।
ময়মনসিংহের নাট্যকর্মী বলেন, ‘প্রায় ৩শ’ বছর আগের ইতিহাস। আমরা যদি এখানে ব্যর্থ হয়ে যাই তাহলে পরের প্রজন্ম যারা আসছে তারা কিন্তু এই মহুয়া পালা নিয়ে কাজ করতে পারবে না।’
ময়মনসিংহ লোক কৃষ্টি সংস্থার সেক্রেটারী এডভোকেট আবুল কাশেম বলেন, ‘আমরা যদি এটি সমৃদ্ধ করতে চাই, তাতে যেমন দরকার সরকারের প্রচেষ্টা তেমনি বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’
মৈমনসিংহ গীতিকার চর্চা সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার কথা বললেন এই গবেষক।
গবেষক একে এম সাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘যে পালাগুলো আছে এগুলো যদি জনসম্মুখে উপস্থাপন করা যায় তাহলে নিশ্চয়ই নতুন প্রজন্ম খারাপ চিন্তা, খারাপ ধারণা থেকে ফিরে আসবেন।’
ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপভাষায় রচিত ও নাটকীয় গুণসম্পন্ন এ পালাটিতে বর্ণনারীতির প্রাধান্য রয়েছে।
এএইচ/
আরও পড়ুন