ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত থাকবে আশা ঢাকার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০৯, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশ আশা প্রকাশ করেছে যে, মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সাংবিধানিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখা হবে। আজ বেসামরিক নেত্রী অং সান সু কি ও অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের আটক করার পর প্রতিবেশী দেশটির সেনাবাহিনী সেখানে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আজ সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে একজন জেনারেলকে নিয়োগ দেয়ার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘নিকটতম ও বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী হিসেবে, আমরা মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চাই।’

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অনুসারী ও জোরদার করার সমর্থক।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, ঢাকা নাইপিদো’র সাথে পারস্পরিক কল্যাণমূলক সম্পর্ক উন্নয়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহনকারী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করছি এসব প্রক্রিয়া সঠিক পথেই এগুবে।’

মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় দেয়া হয়েছে। মিয়ানমারে সেনাবাহিনী দমন অভিযান শুরু করার পর ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে এদের অধিকাংশই এখানে এসেছে। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংঘঠনগুলো ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে। বিগত তিন বছরে, মিয়ানমার একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি।

গণমাধ্যম জানিয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত নোবেল বিজয়ী অং সান সুকির সরকারের বিরুদ্ধে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আজ ক্ষমতা দখল করেছে। সুকিকে আজ সকালে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্ট ও সুকি’র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) পার্টির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে আটক করা হয়েছে।

কয়েকদিন ধরে বেসামরিক সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা ও টানা-পোড়েনের পর নেতাদের আটক করা হলো। গত নভেম্বর মাসের নির্বাচনের পর থেকেই সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করা হচ্ছিল।

সেনা-নিয়ন্ত্রণাধীন মিয়ানমারের মিয়াওয়েডি টিভি জানিয়েছে, দেশের ‘স্থিতিশীলতা’ রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল। সেনাবাহিনী নভেম্বরের নির্বাচনে ‘ব্যাপক অনিয়ম’ ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য দেশটির নির্বাচন কমিশনকে অভিযুক্ত করেছে।

নাইপেদোর বাসিন্দারা বলছে, সৈন্যরা ইয়াঙ্গুনের সিটি হলে অবস্থান নিয়েছে এবং সেখানে মোবাইল ইন্টারনেট ও ফোন সার্ভিস বিঘ্নিত হয়েছে।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি