ঢাকা, সোমবার   ২৮ জুলাই ২০২৫

রাজস্বকরণের দাবিতে বন্ধ কমিউনিটি ক্লিনিক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১৫, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৪৯, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

রাজস্বকরণের দাবিতে ১৮ দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক। দেশব্যাপী এ স্বাস্থ্য সেবা বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংগঠন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (সিএইচসিপি) কর্মীরা। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৮ দিনের ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মীরা।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৮ দিন ধরে আমরা আন্দোলন করছি। সারাদেশে ১৪ হাজার ৩২১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি কর্মীরা আন্দোলন করছেন। ফলে ১৮দিন ধরে গ্রামের সব কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসা সেবা বন্ধ আছে। সিএইচসিপি কর্মীরা তাদের চাকরি রাজস্বকরণের দাবিতে ২০, ২১, ২২ জানুয়ারি স্ব-স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি স্ব-স্ব জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অবস্থান, সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি পেশ করেন।

২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এরপর দাবি আদায় না হওয়ায় গত ১ ফেব্রুয়ারি হতে সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমরণ অনশন করছেন।

সংগঠনের সদস্য প্রধান উপদেষ্টা মো. কামাল হোসাইন সরকার বলেন, ২০ জানুয়ারি হতে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভাসহ সব ধরনের অনলাইন ও হার্ডকপি রিপোর্ট বন্ধ আছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করার জন্য অন্যায়ভাবে পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ আটজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সংগঠনের সদস্য সচিব মো. নঈম উদ্দিন বলেন, আমরা গত ৬ বছরে প্রায় ৬৫ কোটিরও বেশি বার কমিউনিটি ক্লিনিকে আগত সেবা গ্রহীতাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছি। উচ্চতর পর্যায়ে রেফারেলসহ এ পর্যন্ত সফলতার সঙ্গে ৯ হাজারেরও বেশি স্বাভাবিক প্রসব পরিচালিত হয়েছে। তবুও আমরা নিজেদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন এক গভীর দুশ্চিন্তা ও হতাশার মাঝেই অতিবাহিত করছি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের সফলতা এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্য খাতের আমূল পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা থাকায় কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছায় ২০১৩ সালে আমাদের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভূক্ত করণের উদ্যোগ নেয়। বিগত দিনে আমাদের রাজস্বের দাবি আদায়ে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং প্রকল্প পরিচালক আমাদের আশ্বাস দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ পর্যন্ত সে উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করায় আদালত রাজস্বকরণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন। যার পিটিশন নম্বর ১৯৫০। তারপরও আমাদের দাবি আদায় হয়নি। আমরা এখন আমরণ অনশন শুরু করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অনশন কর্মসূচি চলবে।

আরকে/টিকে


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি