ঢাকা, সোমবার   ০৭ জুলাই ২০২৫

রাজাকারের তালিকার দায়িত্ব নেয়ায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কৃতজ্ঞতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:০১, ১০ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৩:০৩, ১০ আগস্ট ২০২০

Ekushey Television Ltd.

মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজাকার, আল-বদরের তালিকা করার দায়িত্ব নেয়ায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠন।

আজ সোমবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ড. কাজী সাইফুদ্দিন, শহীদ এমপি নুরুল হক হাওলাদারের কন্যা জোবায়দা হক অজন্তা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব-১ এম. এম. ইমরুল কায়েস (রানা), সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশিদ রনি, আল আমিন মৃদুল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আজহারুল ইসলাম অপু, ইঞ্জিনিয়ার এম. এনামুল হক মনির, সৈয়দ দিদারুল ইসলাম কমিটির প্রতি এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

নেতৃবৃন্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খানসহ কমিটির সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজাকারের একটি সঠিক তালিকা প্রণয়ন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘদিনের দাবি। যেন ভবিষ্যত প্রজন্ম এসব রাজাকার ও দেশবিরোধীদের চিহ্নিত করে তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু এই তালিকা এতদিন বিলম্বিত হওয়ায় রাজাকারেরা তাদের পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে ও ক্ষমতাবানদের সাথে মিশে গিয়ে বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছে। অনেকে আবার রাজনৈতিক দলের বড় নেতা, এমনকি মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছেন। যা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। 

এসব রাজাকার এবং তাদের বংশধরদের দ্বারা এখনো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার নাজেহাল ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে ঘাপটি মেরে থাকা রাজাকারদের প্রেতাত্মা সুযোগ পেলেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কার্যক্রমের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করার পাশাপাশি সরকারকে বিতর্কিত করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়া দাফন, পতাকার বদলে চাটাই মুড়িয়ে দাফন কার্য সম্পাদনের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনাগুলো তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। 

বিশ্বের অন্যান্য দেশ বিশেষ করে ভিয়েতনামের মতো আইন করে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান ও প্রজন্মকে সরকারি বেসরকারি চাকরি দেয়া নিষিদ্ধ করা ও তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের সরকারি চাকরি দেয়া হয় না। ভিয়েতনামে তিন প্রজন্ম পর্যন্ত চাকরি দেয়া হয় না। তেমনি বাংলাদেশেও তাদের চাকুরিতে নিষিদ্ধ করা উচিত। দেশের স্বাভাবিক উন্নয়নের স্বার্থে রাজাকার প্রজন্ম যারা চাকরিতে আছে তাদের চিহ্নিত করে, চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। 

তালিকা যাতে নির্ভুল হয় সেদিকে বিশেষ সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য তারা কমিটির সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানান।

এমবি//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি