ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ আগস্ট ২০২৫

রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৫৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৯:১৭, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

মিয়ানমার রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে বিশ্বব্যাংকের কাছে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চেয়েছে সরকার। রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা ও দুর্যোগকালীন চিকিৎসা সহায়তা বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সোমবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বৈঠকে বাংলাদেশে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি পারানিথাড়ান , বিশ্বব্যাংকের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা মুকেশ চাওলা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ৫ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। এজন্য অনেক টাকা-পয়সা প্রয়োজন। আমরা বিশ্বব্যাংককে ইতোমধ্যে অনুরোধ করেছি। রোহিঙ্গাদের ম্যানেজ করার জন্য ফান্ডিং করার জন্য। আমরা ইতোমধ্যে আড়াইশ’ মিলিয়ন ডলারের জন্য চিঠি দিয়েছি। রোহিঙ্গাদের জরুরি স্বাস্থ্য সেবা, হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য এটা অর্থ আমরা চেয়েছি।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক দেখবে বিবেচনা করবে ওনারা কতটুকু দিতে পারেন। ওনারা আশ্বস্ত করেছেন, একটা ভাল ফিগারের অ্যামাউন্টই দেবেন। তবে কত ফান্ডিং করবেন সেটা এখনও আমরা জানি না।

প্রস্তাব আমরা ইআরডিতে (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ) দিয়েছি। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে নেগোশিয়েট যা করার তারাই করবে। আমরা প্রতিনিধি দলকেও বলেছি। তারা খুব পজেটিভ, যে আমাদের সাহায্য করবে।

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন উন্নতির পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের একটি বিষয় প্রয়োজন। সেটা হল- মহামারীর জন্য আমরা কতটা প্রস্তুত। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের একটি গ্রেডিং পদ্ধতি আছে। সেই পন্থায় যারা কোয়ালিফাইড তারা চার নম্বর পেয়ে থাকে। আমাদের নম্বর ২ দশমিক ৫।

মহামারী সংকটে অর্থ সহায়তা পাওয়ার যোগ্য হওয়ার জন্য ১৯টি বিষয়ের প্রয়োজন জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের চার পয়েন্ট পেতে হবে। আমরা এ বিষয়ে কার্যক্রম করব, তবেই আমরা গ্রেডিংয়ে পৌঁছে যাব। কোয়ালিফাইড হলে বিশ্বব্যাংক থেকে মহামারী কিংবা যে কোন প্রাকৃতিক দুযোগ মোকাবেলার জন্য সাহায্য-সহযোগিতা পাব।

তিনি বলেন, আমাদের ছয়টি বিষয় অর্জন করা প্রয়োজন। এরমধ্যে রয়েছে- দক্ষ জনবল, ভাল পরীক্ষাগার, ভাল যোগাযোগ মাধ্যম, সার্ভিল্যান্স ভাল রাখতে হবে এবং ট্রেনিং ও ইকুইপমেন্ট।এখন রোহিঙ্গা ইস্যু এসেছে। আমরা যদি আগে থেকে প্রস্তুত থাকতাম তাহলে অটোমেটিক্যালি তাড়াতাড়ি সাহায্য-সহযোগীতা পেয়ে যেতাম।

মহামারী অবস্থায় বিশ্বব্যাংকের সহায়তা পেতে ওখানে একটি হিসাব খুলতে হয় জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেই অর্থ পেতে আবেদন করার বিষয় আছে। আমরা ইতোমধ্যে এগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। হিসাব খোলা হলে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ হবে দ্বিতীয় দেশ। মালদ্বীপ ইতোমধ্যে হিসাব থুলেছে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট বুশরা বিনতে আলম বলেন, মহামারীর সংকটে সক্ষমতা অর্জনে অর্থায়নের যোগ্য হয়েছে বাংলাদেশ। যে ৭৫টি দেশ আইডাতে (বিশ্বব্যাংকের নমনীয় ঋণের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন) আছে, সবাই কোয়ালিফাইড। এই জুলাই থেকে এই ফাইন্যান্সিংটা অ্যাভেইঅ্যাবেল হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মহামারী সক্ষমতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে স্কোর পাঁচের মধ্যে ২ পয়েন্ট ফাইভ। আমরা অনেক ভাল অবস্থায় আছি। তার মানে এই নয় যে, সব ধরণের মহামারী সংকট মোকাবেলা করতে পারব না। কীভাবে আমরা চারে যেতে যাব, তার জন্য কত ব্যয় হবে। সেটা নিয়েই আলোচনা।

আরকে//এআর


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি