শেখ হাসিনার মামলায় কী সাজা চেয়েছে প্রসিকিউশন?
প্রকাশিত : ২২:১৫, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে করা মামলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার কার্য শেষ হয়েছে। এখন অপেক্ষা রায়ের। আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর) তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
দেশের সর্বত্র এখন শেখ হাসিনার কি সাজা হতে পারে? শেখ হাসিনাকে কি সাজা দেবার আবেদন করেছেন প্রসিকিউশন, এই নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।
একুশে টেলিভিশনের অনলাইন পাঠকদের জন্য নীচে তা হুবুহু তুলে দেয়া হলো-
গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার জন্য বাংলাদেশে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।
'দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩' আইনের অধীনে এই ট্রাইব্যুনালে আসামি গ্রেফতার, বিচার এবং সাজা দেওয়া হয়।
সময়ের বিবর্তনে এই আইনে সংশোধনী এনে বেশ কিছু ধারা সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনানুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধানও রয়েছে।
এই আইনের ২০ ধারায় দণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে-
এতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির দোষী সাব্যস্ত হওয়া বা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার কারণ ট্রাইব্যুনালের রায়ে উল্লেখ করতে হবে।
ট্রাইব্যুনাল আইনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তার অপরাধের গুরুত্ব অনুপাতে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড বা অন্য যে কোনো শাস্তি দিতে পারবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামীম বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আসামির অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততা বা অপরাধের গভীরতা অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল যে কোনো শাস্তি দিতে পারবেন। মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারেন, আমৃত্যু কারাদণ্ড দিতে পারেন। এর চেয়ে কম বিভিন্ন মেয়াদের সাজাও দিতে পারে ট্রাইব্যুনাল"।
এমআর//
আরও পড়ুন










