ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ জুলাই ২০২৫

সংস্কারের জন্য আরও সময় পাচ্ছে ৩শ` কারখানা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১৯, ৭ জানুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১৮:২৮, ৭ জানুয়ারি ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

সংস্কার জন্য আরও সময় পাচ্ছে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার (এনপিএ) তত্ত্বাবধানে থাকা রাজধানীর আশেপাশে তিনশত কারখানা। আজ কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক বৈঠক এমন সংবাদ জানাবেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই)।   

তবে কী কারণে সংস্কার শুরু করা হচ্ছে না তার ব্যাখ্যা জানতে চাও হবে কারখানা মালিকদের কাছে। সংস্কার শুরু না হওয়া কিংবা সংস্কারে ধীরগতির এসব কারখানা পোশাক খাতের মূলধারার নয়। মূলত,ঠিকাভিত্তিক বা সাব-কন্ট্রাক্টের উৎপাদনই এসব কারখানার মূল কাজ। পোশাক খাতের সংস্কারবিষয়ক দুই ক্রেতা জোট ইউরোপের অ্যাকর্ড এবং উত্তর আমেরিকার অ্যালায়েন্সের তত্ত্বাবধানের বাইরে থাকা জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অধীনে (এনপিএ) এসব কারখানায় সংস্কার হওয়ার কথা।    

এনপিএর অধীনে থাকা কারখানার মোট সংখ্যা ১ হাজার ৫৪৯টি। মূলধারার কারখানা না হওয়ায় সংস্কারের অর্থ ব্যয় করা এসব কারখানা মালিকদের জন্য সহজসাধ্য নয়। এ ছাড়া ভাড়া বাড়িতে অবস্থিত বেশিরভাগ কারখানা ভবনের সংস্কারের দায়িত্ব কে নেবে, তা নিয়েও জটিলতা রয়েছে।

বেশিরভাগ কারখানাই ভাড়া বাড়িতে। ফলে ভবনের কাঠামো সংস্কারে ঋণ সহযোগিতা ভবনের মালিক নাকি কারখানা কর্তৃপক্ষ পাবে সে জটিলতা প্রকট। এই ৩০০ কারখানার মধ্যে বিজিএমইএর সদস্য ১৩৪টি এবং বিকেএমইএর সদস্য ৭৪টি বাকি কারখানাগুলো অসংগঠিত। অর্থাৎ, কোনো সংগঠনের সদস্য নয়।

জানতে চাইলে ডিআইএফইএর মহাপরিদর্শক (আইজি) সামছুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কারখানাগুলো সংস্কার শুরু করেনি। কোনো কোনো কারখানার অগ্রগতি নগণ্য। সংস্কার অগ্রগতি শূন্য থেকে ২০ শতাংশের নিচে ঢাকা অঞ্চলের এমন কারখানা মালিকদের নিয়ে বৈঠক করবেন তারা। তাদের সমস্যার কথা শুনবেন।

সংস্কার শুরু করতে এর আগেও কয়েক দফা সময় দেওয়া হয় কারখানাগুলোকে। অন্তত ৩২টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে কারখানাগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। রফতানির সঙ্গে সংশ্নিষ্ট সব সেবা বন্ধ করে দেওয়া এবং লাইসেন্স বাতিলের মতো হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। গত অক্টোবরে এসব কারখানার বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্স, শুল্ক্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানি ও ব্যবহারের অনুমতি ইউটিলাইজেশন পারমিশনসহ (ইউপি) রফতানি-সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা বন্ধ রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ করে চিঠি দেয় ডিআইএফই।

কারখানার তালিকা এবং বিস্তারিত তথ্যসহ কেন সেবা বন্ধ করে দেওয়া উচিত তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয় চিঠিতে। এর আগে কারখানাগুলোর বিপরীতে সব ধরনের সেবা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর কাছে পৃথক চিঠি দেয় ডিআইএফই। তবে ডিআইএফইর এই অনুরোধ রাখেনি এনবিআর, বিজিএমইএ কিংবা বিকেএমইএ।

এর মধ্যে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়, আপাতত কোনো ধরনের সেবা বন্ধ করতে রাজি নয় তারা। আরও কিছু দিন সময় দেওয়ার পক্ষে অবস্থানের কথা জানানো হয় ডিআইএফইএর কাছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই আজকের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের বাইরে অন্য ক্রেতাদের রফতানি আদেশ সরবরাহ করা হয় দেশে এ রকম কারখানার সংখ্যা ১ হাজার ৮২৭টি। গোটা পোশাক খাত সংস্কারের উদ্দেশ্যে এ কারখানাগুলোর পরিদর্শন এবং সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সরকারের পক্ষে ডিআইএফইকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে অর্থ ও কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

টিআর/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি