ঢাকা, সোমবার   ০৭ জুলাই ২০২৫

সমিতির চড়াসুদের ঋণে সর্বশান্ত সাধারণ মানুষ (ভিডিও)

রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৫৩, ৫ জুলাই ২০২২ | আপডেট: ১২:৫৫, ৫ জুলাই ২০২২

Ekushey Television Ltd.

রাজশাহীর বাগমারায় নামে-বেনামে লাগামহীনভাবে বাড়ছে সমবায় সমিতি। বিধি-নিষেধ না মেনে চড়াসুদে ঋণ দিচ্ছে সেগুলো। সর্বশান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ঋণ শোধে ব্যর্থরা।

গণিপুর গ্রামের কৃষক সোরাব আলী। দু’বছর আগে আশার আলো সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নেন এক লাখ টাকা। সুদসহ পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধের পরও শেষ হয়নি তার ঋণ। 

কৃষক সোরাব আলী বলেন, “এক লাখ নিয়েছিলাম, ৫ লাখ দেওয়ার পর আরও যাচ্ছে।”

স্বামীর চিকিৎসার খরচ জোগাতে দুই সমবায় সমিতি থেকে দুই লাখ ২২ হাজার টাকা ঋণ নেন আক্কেলপুরের আসমানি বেগম। আড়াই বছরে সেই ঋণ সুদে-মূলে হয়েছে ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

আসমানি বেগম বলেন, “এক সমিতি থেকে ১ লাখ ২২ হাজার নিয়েছিলাম, সেখানে টাকা হয়েছে ৬ লাখ ৮০ হাজার। আরেক সমিতিতে হয়েছে ৬ লাখ।”

গণিপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর আর আক্কেলপুরের অনেকেই ঋণের টাকা শোধ করতে না পেরে ঘরছাড়া।

স্থানীয়রা জানান, “ঋণ দিতে ব্যর্থ হয়ে অনেকে বাড়ি থেকে চলে গেছে।” 

সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে সর্বশান্ত ব্যবসায়ীরাও।

ব্যবসায়ীরা জানান, “সাহেববাজার নামে এই বাজারটা। এখন এটা সাহেববাজার নাই ফকির বাজার হয়েছে। সন্ধ্যার পর বাজারে একটি লোকও থাকে না। যারা টাকা নিয়েছে তার জানের ভয়ে সন্ধ্যার আগে চলে যায়।”

তবে উচ্চহারে সুদ আদায়ের কথা অস্বীকার সমিতির মালিকদের। 

এক সমিতির মালিক জানান, “আমরা কোন এনজিও চালাইনি। এখনও কোন নিয়োগ দেইনি।”

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গড়া সমিতিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা জানালেন এই কর্মকর্তা।

রাজশাহী জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, “অবশ্যই এটা খতিয়ে দেখা হবে এরা রেজিস্ট্রারকৃত কিনা। রেজিস্ট্রার করে যদি এধরনের কার্যকলাপ করে থাকে, আর যদি অবৈধভাবে করে থাকে তাহলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অবৈধ সমিতি বন্ধ এবং আইন-কানুন মেনে পরিচালনার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি