ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ জুলাই ২০২৫

সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে: বিএসএমএমইউ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৬, ২৭ জানুয়ারি ২০২০

Ekushey Television Ltd.

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার লক্ষ্যে গঠিত মেডিকেল বোর্ড ‘সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে’ তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ।

গতকাল রোববার বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। 

এ ক্ষেত্রে তার রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে একজন রোগী হিসেবেই তাকে দেখা হচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের সঙ্গে মেডিকেল বোর্ডের কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত প্রায় ১০ মাসে খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যার কেনো কোনো ক্ষেত্রে আশানুরূপ উন্নতি হয়েছে। আবার কোনো কোনো রোগ স্থিতিশীল। দাঁতের ব্যথা ভালো হয়েছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শারীরিক দুর্বলতার উন্নতি হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত বছরের ১ এপ্রিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি হন। সে সময় তিনি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন. আর্থ্রাইটিস, দাঁতের ব্যথা, কাফ ভেরিয়েন্ট অ্যাজমা ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছিলেন। ভর্তির পরপরই তার চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন ও ইন্টারন্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জিলন মিঞা সরকারের নেতৃত্বে রিউমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হকসহ তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে এই বোর্ডে রাখা হয়। মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী গত ১৭ ডিসেম্বর একজন করে এন্ডোক্রাইনোলজি ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে বোর্ডের সুপারিশে আরও একজন করে মনোরোগ ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিশেষজ্ঞ নেওয়া হয়। এর বাইরে খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী রিউমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুনুর রহমান নিয়মিত মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে তার চিকিৎসায় সহায়তা করে যাচ্ছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৯ ও ২০১২ সালে খালেদা জিয়ার দুই হাঁটুতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নি-রিপ্লেসমেন্ট করা হয়। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমানোর জন্য মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন নেওয়া, বায়োলজিকস ও অন্যান্য আধুনিক মেডিসিন সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তাতে সম্মতি দেননি। এতে চিকিৎসাকরা তার আর্থ্রাইটিসের উন্নত চিকিৎসা শুরু করতে পারছেন না। ফলে আর্থ্রাইটিসের আশানুরূপ উন্নতি হচ্ছে না। ডায়াবেটিস, আর্থ্র্রাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং বয়সজনিত কিছু সমস্যা সম্পূূর্ণ নির্মূলযোগ্য নয়। যথাযথ ও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা ও রোগীকে ভালো রাখার চেষ্টা করা হয়। খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার লক্ষ্যে গঠিত মেডিকেল বোর্ড সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে সেই কাজটি করে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না দাবি করে বিএনপির পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবি তোলা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকেও একই দাবি জানানো হয়। সম্প্রতি পরিবারের সদস্যরা বিএসএমএমইউতে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে তার বোন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিদেশে পাঠানোর জন্য আবারও সরকারের কাছে আহ্বান জানান।

এর প্রেক্ষিতে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে। 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি