হরতালেও চলবে বিআরটিসি’র বাস
প্রকাশিত : ১৮:২৯, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বিশেষ পরিস্থিতিতে একমাত্র সরকারি সড়ক পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনকে (বিআরটিসি) সেবা দিতে হবে। এমন বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন আইন ২০১৯’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এই আইন পাস হলে হরতাল, ধর্মঘট, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশ্ব ইজতেমাসহ যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে বিআরটিসি’র বাসগুলো চলবে এবং বিশেষ সার্ভিস দেবে। একইসঙ্গে এসব বাসের চালক ও হেলপার সরকারি কর্মচারী হিসেবে গণ্য হবেন।
আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ছয় নম্বর ভবনের ১৩ তলায় নতুন মন্ত্রিসভা কক্ষে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠক হয়। বৈঠকে পাঁচটি এজেন্ডা পাস হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন এবং এসব তথ্য জানান।
সচিব জানান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) এতোদিন ১৯৬১ সালের অধ্যাদেশে চলছিল। আদালতের নির্দেশে ওই অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করা হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী, করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন হবে এক হাজার কোটি টাকা। আগে ছিল ছয় কোটি টাকা। আগে পরিশোধিত মূলধন ছিল দুই কোটি টাকা। কিন্তু নতুন আইনে পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। করপোরেশন নিজেই এটা ঠিক করবে। তবে এই অংক অনুমোদিত মূলধনের চেয়ে বেশি হবে না। মূলধনে সরকারি শেয়ারের পরিমাণ থাকবে ৫১ শতাংশ এবং বেসরকারি শেয়ার থাকবে ৪৯ শতাংশ।
নতুন আইনে অনুযায়ী, বিআরটিসি’র পরিচালনা পর্ষদে সদস্য সচিবের নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। মোট ২৪ সদস্য নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হবে। এই ২৪ জনের মধ্য সরকার মনোনীত ১২ জন, আট বিভাগের আটজন, শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে তিনজন, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে একজন সদস্য থাকবেন। তবে এর মধ্যে অবশ্যই তিনজন নারী সদস্য থাকতে হবে। সাতজনে কোরাম। বছরে কমপক্ষে চারটি সভা করতে হবে। পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এসব সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তিনি না থাকলে উনার মনোনীত ব্যক্তি সভাপতিত্ব করবেন। মনোনীত ব্যক্তি না থাকলে অন্য সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে একজন সভাপতিত্ব করবেন।
প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বার্ষিক সাধারণ সভার বিধান থাকলেও নতুন আইনে কোনও সময় নির্ধারণ করা হয়নি। পরিচালনা পর্ষদ যখন চাইবে তখনই করতে পারবে।
আরকে//
আরও পড়ুন