লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি
প্রকাশিত : ০৮:৩২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৭৬ জন বাংলাদেশিকে বুধবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম)র সহায়তায় দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বুধবার ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এই তথ্য জানিয়েছে।
দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়া বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় আজ ত্রিপলীর তাজুরা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৭৬ জন বাংলাদেশিকে আইওএম-এর সহায়তায় দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যাবাসিতরা লিবিয়ার বুরাক এয়ারলাইন্সের (ফ্লাইট নম্বর UZ222) মাধ্যমে ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশারের নেতৃত্বে দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল লিবিয়ার অভিবাসন অধিদপ্তরের অভ্যর্থনা কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে প্রত্যাবাসিতদের বিদায় জানান। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত অবৈধ অভিবাসনের বিভিন্ন নেতিবাচক দিক তুলে ধরে তাদের ভবিষ্যতে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অবৈধ অভিবাসনের ফলে ব্যক্তির আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি পরিবার ও সমাজও দুর্ভোগের শিকার হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করে।
রাষ্ট্রদূত প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের নিজ নিজ এলাকায় অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করারও আহ্বান জানান। পাশাপাশি দেশে ফিরে মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ভুক্তভোগীদের পরামর্শ দেন এবং এ ক্ষেত্রে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, প্রত্যেক নাগরিক দেশের অমূল্য সম্পদ। বৈধ ও নিরাপদ উপায়ে বিদেশে গিয়ে দক্ষতা ও সততার সঙ্গে কাজ করলে প্রবাসীরা কেবল পরিবারের জীবনমানই উন্নত করেন না, দেশের সুনামও বৃদ্ধি করেন।
রাষ্ট্রদূত প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতার জন্য লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আইওএম-এর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
এএইচ
আরও পড়ুন