ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

নেই সুখবর, আরও দেড় হাজার ব্রিটেশের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৩, ২৩ জানুয়ারি ২০২১

করোনার তাণ্ডব থামাতে ব্রিটেনজুড়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ চললেও এখন পর্যন্ত মিলেনি সুখবর। একই সাথে ভয়াবহতা ছড়াচ্ছে নতুন স্ট্রেইন। গত একদিনেও ইউরোপের দেশটিতে প্রায় দেড় হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে করে মৃতের সংখ্যা ৯৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে। 

ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যমতে, গত একদিনে ৪০ হাজার ২৬১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ লাখ ৮৩ হাজার ৯০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ৪০১ জনের। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫ হাজার ৯৮১ জনে ঠেকেছে। 

অন্যদিকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনামুক্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৬২২ জন রোগী। এর মধ্যে গত একদিনের বেঁচে ফিরেছেন ১৩ হাজার ৯১৫ জন।

এদিকে, আশঙ্কাজনকহারে ছড়িয়ে পড়ায় ভাইরাসটি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে। এতে করে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই আছে। এমতাবস্থায় লন্ডনে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। স্থানীয় সময় গত ৮ জানুয়ারি লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এ ঘোষণা দেন। এ সময়ে জনসাধারণকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানান তিনি। 

সাদিক খান বলেন, ‘যেভাবে করোনা বিস্তার লাভ করেছে, তা দিনদিন নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে। এতে করে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে হাসপাতালগুলোর শয্যা শেষ হয়ে যাবে। আমরা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছি। কারণ, আমাদের শহরে হুমকি হয়ে ওঠা ভাইরাসটির প্রকোপ সংকটময় মুহূর্তে পৌঁছে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘লন্ডনের কিছু কিছু জায়গায় প্রতি ২০ জনে একজনের শরীরে করোনা সংক্রমিত হচ্ছে। যা খুবই উদ্বেগের। অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসেও বেড়ে গেছে চাপ। দিনে আসছে ৯ হাজারের বেশি কল।’

এদিকে দেশটিতে ক্রমাগত ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেইন। টিকা প্রয়োগ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত তার সুফল তেমনটা মিলেনি বলেই জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। ফলে পরিস্থিতি আরও সংকটের দিকে পৌঁছাচ্ছে, হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। 

করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন থেকে ঝুঁকি এড়াতে ১৮ জানুয়ারি (সোমবার) থেকে সব ধরনের ভ্রমণ পথ বন্ধ করেছে যুক্তরাজ্য। যা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এর মধ্যে কেউ যদি দেশটিতে প্রবেশ করতে চায় তাহলে তাকে কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে।

ব্রাজিলের করোনাভাইরাসের আলাদা এবং অজ্ঞাত এক ধরণ শনাক্ত হলে উদ্বেগ তৈরি হয় যুক্তরাজ্যে। এর ফলে দক্ষিণ আমেরিকা এবং পর্তুগালের সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি। বলা হয়েছে যে, এরপরও যারা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করবে তাদের ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এআই/এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি