ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৪ আগস্ট ২০২৫

কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতকের ঠাঁই হলো নতুন মায়ের কোলে

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১৮:২২, ১৪ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৮:২৩, ১৪ আগস্ট ২০২০

Ekushey Television Ltd.

অবশেষে মায়ের কোলে ঠাঁই পেলো ‘আশফিয়া’। তবে প্রকৃত মায়ের কোল নয়,ব্যবসায়ী এক দম্পতির কাছে আশফিয়াকে তুলে দেয়া হয়েছে। যশোরের শার্শা উপজেলার বাঁগআচড়া বাজারের সাতমাইল পল্লী বিদুৎ অফিসের সামনে রাজ্জাকের মিলের পাশ থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সকালে কুঁড়িয়ে পাওয়া কাপড়ে মোড়ানো সদ্যপ্রসুত নবজাতকটি ওইদিনই বিকেলে তাকে এক নিঃসন্তান দম্পত্তি আলী কদর ও রুবিনা খাতুনের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

এসময় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শার্শা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম ও সমাজসেবা অফিসার আব্দুল ওহাব উপস্থিতি ছিলেন। নবজাতক ওই কন্যা সন্তানকে সরকারি পর্যায়ে নিয়ম-কানুন মেনে বাড়ি নিয়ে আসার পর নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে ‘আশফিয়া’। ওই ব্যবসায়ী তার দোকানের নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন ‘আশফিয়া স্টোর’। সেটা আগে ছিল ‘মা স্টোর’।

এখনও শিশুটির অভিভাবকদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। কেউ আসেননি তাদের সন্তানকে নিতে। বর্তমানে শার্শা উপজেলার উলাশী এলাকার বাসিন্দা নাভারন বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আলী কদরের স্ত্রী রুবিনা খাতুন মাতৃস্নেহে তাকে রেখেছেন নিজের কাছে।

রুবিনা খাতুন জানান, আমার স্বামী রাস্তায় পাওয়া শিশুটিকে আমার কোলে তুলে দেন। ফুটফুটে এই শিশুটিকে কোলে পেয়েই নাম রেখেছি ‘আশফিয়া’। তাকে শিশুর উপযোগী গুঁড়ো দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। শিশুটিকে আমি মায়ের স্নেহে বড় করে মানুষের মত মানুষ করে তুলবো বলে জানান রুবিনা। 

আলী কদর জানান, আমরা শিশুটিকে পেয়ে খুব খুশি। আশেপাশের অনেকে এক নজর দেখে যাচ্ছেন শিশুটিকে। আশফিয়া আমাদের সংসারকে আলোকিত করুক এটাই আমাদের কামনা।

শার্শা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রশাসনের উদ্যোগে ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে উদ্ধার হওয়া ওই নবজাতককে নি:সন্তান ব্যবসায়ী আলী কদর ও তার স্ত্রী রুবিনা খাতুন এর কাছে দেওয়া হয়েছে। আশাকরি শিশুটি খুব ভাল থাকবে। 
কেআই//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি