ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

জাহাজের ৫শ’ টন সার মিশে গেলো পানিতে

মোংলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:২৪, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে ডুবন্ত লাইটার জাহাজ থেকে সার উত্তোলনের সময় কোনও সার পাওয়া যায়নি। জাহাজে থাকা ৫শ’ টনের পুরোটাই নদীর পানির সঙ্গে মিশে গেছে বলে জানায় জাহাজটির মালিকপক্ষ। 

বৃহস্পতিবার সকালে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজের মালিক আজাহার সিদ্দিক বলেন, ‘তার লাইটার জাহাজ এবং জাহাজে থাকা সার উদ্ধারে মোংলা ও খুলনার ডুবোরি দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুরুতে তারা ওই জাহাজে সার অপসারণের চেষ্টা চালালে তাতে কোনও সার পাওয়া যায়নি। ৫শ’ টনের পুরো সারই নদীতে তলিয়ে পানির সাথে মিশে গেছে।”

সার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, লাইটার জাহাজটি উদ্ধার করার জন্য এরই মধ্যে চট্রগ্রাম থেকে বিশেষ ধরনের একটি নৌযান (ফ্লাট বোট) রওনা হয়েছে। ২০ দিনের মধ্যে এটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ওই জাহাজটি উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জাহাজটির মালিক পক্ষ এটি উদ্ধারে তৎপরতা চালায়। 

এদিকে, সার নদীর পানিতে মিশে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এতে জলজ সম্পদের মারাত্মক ক্ষতিসহ পার্শ্ববর্তী সুন্দরবনের পরিবেশও নষ্ট হবে।’

গত ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শাহজালাল এক্সপ্রেস নামে লাইটার জাহাজটি ডুবে যায়। এতে কানাডা থেকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশননের (বিএডিসি) আমদানি হওয়া ৫শ’ মেট্রিক টন সার (এমওপি) ছিল। 

মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া- ৯ এ অবস্থান করা লাইব্রেরিয়া পতাকাবাহী ‘এমভি ভিটা অলেম্পিক’ থেকে সার বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল লাইটার জাহাজ শাহজালাল এক্সপ্রেস। পথিমধ্যে ক্লিংকার নিয়ে অবস্থান করা ‘সুপ্রিম ভ্যালর’ বিদেশি একটি জাহাজটি টার্ন করার সময় তাতে ধাক্কা লাগলে লাইটার জাহাজটির ইঞ্জিন রুমে পানি ঢুকে ডুবে যায়।

পরে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটি উদ্ধারে মালিকপক্ষকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হলেও আজ ৯ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত এখনও এটি উদ্ধার করা যায়নি। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি