রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১০
প্রকাশিত : ১০:৪৯, ১৫ মে ২০২৫

রাজশাহীর পুঠিয়ায় আধিপত্য বিস্তার এবং স্থানীয় পুকুরের টেন্ডার নিয়েই সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিএনপির দুই গ্রুপ। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার রাতে পুঠিয়া উপজেলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় স্থানীয় বিএনপির কার্যালয় এবং তিনটি মোটরসাইকেল।
জানা যায়, বিকালে টেন্ডার নিয়ে শুরু হওয়া উত্তেজনা রাত পর্যন্ত গড়ায়। একপর্যায়ে পুঠিয়া বাজারে দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়ায়। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং দীর্ঘক্ষণ সংঘর্ষ চলে।
পুলিশ শুরুতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ স্বাভাবিক করে। বর্তমানে পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
আহতরা চিকিৎসা নিয়েছেন পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল। একপক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানের অনুসারীরা এবং অপরপক্ষের নেতৃত্বে আছেন বিএনপি নেতা ফারুক রায়হানের অনুসারীরা।
পুলিশ বলছে, পুকুর টেন্ডার ঘিরেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। বিকেলের পর থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে, সন্ধ্যার দিকে দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিল ও মহড়া শুরু করে, যা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
পুঠিয়া বাজারের ব্যবসায়ী আজিজুল হক বলেন, “সন্ধ্যার পরে হঠাৎ দেখি দুই দিক থেকে লোকজন লাঠিসোটা, রড, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসছে। বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। কেউ কেউ আমাদের দোকানে আশ্রয় নেয়। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মারামারি চলে। পরে সেনাবাহিনী এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে বিএনপির পার্টি অফিসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগে পার্টি অফিসের আসবাবপত্র পুড়ে যায়।”
স্থানীয় বাসিন্দা রোকেয়া বেগম জানান, “আমার ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে দোকানে যাচ্ছিল, ওর মোটর সাইকেলটা আগুনে পুড়ে গেছে। পুরো এলাকা এখন আতঙ্কে আছে।”
পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এএইচ
আরও পড়ুন