চা শিল্প রক্ষায় সকলের এগিয়ে আসা প্রয়োজন
প্রকাশিত : ১৯:২১, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

গ্রীন ফিল্ড টি ইন্ড্রাষ্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়জুল ইসলাম হিরু বলেছেন, চা চাষীদের কাছ থেকে “দু’টি পাতা একটি কুড়িসহ চায়ের কচি পাতা” সরবরাহ না পাওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে উৎপাদিত চা-এর গুণগত মান রক্ষা ও ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শংকা দেখা দিয়েছে। এই শিল্প রক্ষায় সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব মিলনায়তনে চা শিল্পের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং করণীয় বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমরা যারা চা উৎপাদন করি তা চট্রগ্রামে চা এর নিলাম বাজারে তুলতে হয়।সেখানে চা এর গুণগত মান অনুযায়ী ক্রেতাদের চাহিদার ভিত্তিতে চা 'র দাম নির্ধারিত হয়। কিন্তু এই অঞ্চলের চা-চাষীগণ “দু’টি পাতা একটি কুড়ি অর্থাৎ চা-এর কচি পাতা সরবরাহ না করে ৮/১০ পাতা(পুরোট পাতা) সরবরাহ করছেন। যে পাতায় চা-এর কোন নির্যাস বা গুণগত মান থাকে না।ফলে তার কোম্পনীটি চা-এর বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে মোটা অংকের টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। গত এক বছরে তাঁর এ কারখানা আড়াই কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে এবং ইতোমধ্যে তার চা কোম্পানী থেকে শতাধিককর্মী ছাঁটাই করতে হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, চা-চাষীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের চা ফ্যাক্টরী এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও পোষ্টার লাগিয়ে চা-চাষীদের “দু’টি পাতা একটি কুড়িসহ চা-এর কচি পাতা” সরবরাহ করার অনুরোধ জানিয়ে আসছেন উল্লেখ করে এ এলাকার চাকে দেশের চা-এর বাজারে টিকিয়ে রাখতে কচি পাতা সরবরাহের বিকল্প নেই বলে জানান।
তিনি জানান, সম্প্রতি, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে পাচার হয়ে আসা নিম্ন মানের কম দামের চা অবাধে আমাদের বাজারে বিক্রি হচ্ছে।ফলে দেশে উৎপাদিত চায়ের চাহিদা ও দাম কমে গেছে এবং সে চা দেশের চা শিল্পের ক্ষতিগ্রস্থ করছে। নিম্নমানের চা যাতে অবাধে-অবৈধভাবে দেশে ঢুকতে না পারে সে জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টি ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হাসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি মনসুর আলী, সাবেক সভাপতি আবু তোরাব মানিক সহ জেলা ও উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার শতাধিক সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও গ্রীন ফিল্ড টি ইন্ড্রাষ্টিজ কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সাল থেকে এলাকার চাষীদের কাছ থেকে চা পাতা সংগ্রহ করলেও সাম্প্রতিককালে তারা স্থানীয় চাষীদের চা পাতা সংগ্রহের ক্ষেত্রে হয়রানি, পার্সেন্টিজ কেটে নেওয়া এবং টি বোর্ডের মূল্য পরিশোধ না করে ১২ টাকা কেজি দরে চা পাতা ক্রয় করার চেষ্টা করলে কৃষকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
এ ব্যাপারে ফয়জুল ইসলাম হিরু তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, একটি কুচক্রী মহল বিভিন্নভাবে আমাদের চা কোম্পানীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং তাঁর চা শিল্পের সুনাম ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্র করছে।এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধসহ চা-শিল্প রক্ষায় তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
কেআই/
আরও পড়ুন