আড়াইহাজার সাব রেজিস্টার অফিসে ঘুষ আদায়ের ভিডিও ভাইরাল
প্রকাশিত : ২২:৫৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ২৩:০১, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার সাব-রেজিস্টার অফিসের চলছে চরম দুর্নীতি ও অনিয়ম চলছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আড়াইহাজার সাব রেজিস্টার এছহাক আলী মন্ডলের ঘুষ গ্রহণের ভিডিও প্রকাশের দুই বছরের ব্যবধানে এবার একই অফিসের অফিস সহকারী সুনীতি রানী দত্তের প্রকাশ্যে দলিল প্রতি টাকা আদায়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরায় হয়ে গেছে।
সুনীতি রানী দত্ত নগদ অর্থ আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে সরকারী ফি বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। তবে পে অর্ডার ব্যতীত অর্থ আদায়ের কোন সুযোগ নেই বলে জানা গেছে। এছাড়া ওই অফিসে জনসাধারণ প্রবেশ করতে গেলেও স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হয় বলেও জানা গেছে।
রূপগঞ্জের সাব রেজিস্টারকে আড়াইহাজারের ভারপ্রাপ্ত সাব রেজিস্টার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ওই ঘটনার পর থেকে অদ্যাবধি রূপগঞ্জের সাব রেজিস্টার সপ্তাহে দু’দিন আড়াইহাজারে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পালন করে থাকে।
এদিকে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার সাব রেজিস্টার অফিসের অফিস সহকারী সুনীতি রানী দত্ত প্রকাশ্যে প্রত্যেক দলিল বাবদ অর্থ আদায় করছেন। সুনীতি রানী দত্ত প্রকাশ্যে প্রত্যেক দলিল বাবদ কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অংকে টাকা আদায় করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। টাকার অংকের হিসেবে বড় দলিলে বেশি টাকা আর ছোট দলিলে তুলনামূলক কম টাকা আদায় করা হয়। তাকে চাহিদা মোতাবেক অর্থ না দিলে ওই দলিলের রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়না। ভিডিওতে দেখা যায় একটি দলিলের ফি নিয়ে দরদামও করতে দেখা যায়। সমিতি ও অফিস ভাড়ার কথা উল্লেখ করে দরদামের মধ্য দিয়ে বেশি টাকা আদায়ের চিত্র দেখা যায়।
এ ঘটনায় আড়াইহাজার সাব রেজিস্টার অফিসের সহকারী সুনীতি রানী দত্ত গণমাধ্যমের প্রথম দিকে টাকা লেনদেনের কথা অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে সরকারী ফি আদায়ের কথা উল্লেখ করেন। তবে সরকারী ফি আদায়ের ক্ষেত্রে টাকা দরদামের বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। কারণ পে অর্ডার ব্যতীত কোন অর্থ লেনদেনের সুযোগ নেই।
আড়াইহাজার সাব রেজিস্টার অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রুপগঞ্জের সাব-রেজিস্টার শফিউল বারী বলেন, ‘আমি আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তবে যথাযথ প্রমাণ থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে তাকে শোকজ করা হবে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিস্টার জিয়াউল হক জানান, ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
আরকে//
দেখুন ভিডিও---
আরও পড়ুন