ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৪

ঝালকাঠি রাজাপুরে পল্লী চিকিৎসককে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা

আজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি : 

প্রকাশিত : ২১:১৬, ২১ জুলাই ২০২০

ঝালকাঠির রাজাপুরে মোঃ সালাউদ্দিন নামে এক পল্লী চিকিৎসকের চেম্বার ও ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত ২লাখ ও তার দুজন কর্মচারীকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। 

সোমবার দুপুর আড়াইটায় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: সোহাগ হাওলাদার কানুদাসকাঠি গ্রামের বাসিন্দা এই পল্লী চিকিৎসককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারা অনুযায়ী এ দন্ড প্রদান করেছে। 

এ সময় তার দোকান থেকে বেশ কিছু এন্টিবায়োটিক ওষুধ ও উপস্থিত রোগীদের চিকিৎসার করে দেয়া ব্যবস্থাপত্র জব্দ করা হয়েছে বলে জানাগেছে। তবে পল্লী চিকিৎসক হিসাবে প্রশিক্ষন সদন ও ওষুধের দোকানের ড্রাগ ব্যাবসার বৈধ লাইসেন্সধারী হওয়া সত্বেও পল্লী চিকিৎসক মোঃ সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে পরিচালিত এ ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও মিশ্র পতিক্রিয়া সৃষ্টি
হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সোহাগ হাওলাদার সাংবাদিকদের জানায়, ‘ভুয়া চিকিৎসক সালাউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে তার বসত ঘরে চেম্বার খুলে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কানুদাসকাঠি গ্রামের কাটাখালী বাজার সংলগ্ন এলাকায় সালাউদ্দিনের বসত বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। 

এ সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া ও এন্টিবায়োটিক ওষুধ সরবারহের কারন তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে তাকেসহ তার দুই কর্মচারীকে আটক ও তার চেম্বারের একটি রুম থেকে বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক ওষুধ ও উপস্থিত কয়েকজন রোগীকে দেয়া চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র জব্দ করা হয়। এ অবস্থায় পল্লী চিকিৎসক মোঃ সালাউদ্দিন জড়িমানার আড়াই লাখ টাকা জমা দিলে সোমবার রাতেই মুচলেখা রেখে ৩জনকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ সময় উক্ত চেম্বারে উপস্থিত ও চিকিৎসা নিতে আসা ১৫/২০জন রোগী ক্ষোভের সাথে বলেন, পল্লী চিকিৎসক মোঃ সালাউদ্দিনের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে আমরা উপকৃত হয়েছি। তিনি আমাদের কাছে কখোন বিশেষজ্ঞ বা এমবিবিএস চিকিৎসক বলেও পরিচয় দেননি বা কোন ভিজিট আদায় করেনি। 

শুধুমাত্র ওষুধের মূল্য নেয়ায় আমরা অনেক স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা নিয়ে উপকৃত হয়েছি। তাই কোন অসাধু মহলের ইন্ধন বা ষড়যন্ত্রমূলক অভিযান করে থাকলে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযানের পূর্বে আরো তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে পারতেন। কারন রাজাপুর উপজেলা সদরে তার নাকের ডগায় একাধিক পল্লী চিকিৎসক রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করে আসছে এবং ড্রাগ লাইসন্সেহীন অনেক ওষুধ ব্যবসায়ী প্রকাশ্যে ব্যবসা করছে।

এ ব্যাপারে পল্লী চিকিৎসক মোঃ সালাউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে জানায়, সরকারী ভাবে পল্লী চিকিৎসক হিসাবে প্রশিক্ষন নিয়ে সনদপত্র পাওয়ার পর ও ওষুধের ব্যাবসার বৈধ ড্রাগ লাইসেন্স নিয়ে আমি গ্রামাঞ্চলের অসুস্থ মানুষকে সেবা দিয়ে আসছি। আমার দেয়া চিকিৎসায় আজ পর্যন্ত কোন রোগীর ক্ষতি বা সমস্যা হয়েছে বা কারো কাছ থেকে রোগী দেখার ভিজিট নিয়েছি বলে কেউ প্রমান করতে পারলে আমি যে কোন শাস্তি মাথা পেতে নিবো। আমার ব্যবস্থা পত্রে ও সাইনবোর্ডের উপর
ষ্পষ্ট বাংলায় পল্লী চিকিৎসক মুদ্রন করা রয়েছে। রোগীদের কাছ থেকে আমি শুধুমাত্র ওষুধের মূল্য নিয়ে থাকি।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি